আচরণবিধি মানছে না ছাত্রদল
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬ AM , আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬ AM
-10952.jpg)
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। তবে অনেক প্রার্থীকে সেখানেই ভোট চাইতে দেখা যায়। এ সময় তাদের সরিয়ে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কার্জন হল কেন্দ্রে ছাত্রদলের ফজলুল হক মুসলিম হলের নেতাকর্মীদের লাইনে ভোট চাইতে দেখা যায়।
কার্জন হল ও সিনেট ভবন কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোট দিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। তাদের পাশেই রয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তারা ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়ার পাশাাপাশি কার্ড ও লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছেন। একপর্যায়ে সিনেট ভবন কেন্দ্র থেকে প্রার্থীদের সরিয়ে দিতে দেখা যায়।
ডাকসুর ছাত্রশিবির সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের' ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম গণমাধ্যমকে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন। ছাত্রদল ডেস্ক বসিয়েছে, ১০০ গজের মধ্যে গিয়ে তারা ভোটারদের স্লিপ দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, আমরা আশা করছি সবাই আচরণবিধি মেনে চলবে। এছাড়া যারা আচরণবিধি ভঙ্গ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানান তিনি।
ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রদলের আহবায়ক আবিদ হাসান বলেন, ‘নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রচার করে ফেলেছি, তাই আমি ভুল স্বীকার করছি। প্রক্টর স্যাররা বলার সাথে সাথেই সাথেই এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। আর এমন হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, এভাবে ভোট চাওয়ার সুযোগ নেই। প্রার্থীদের কেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরে থাকতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সকাল থেকেই ভোটার ও প্রার্থীরা নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচন উপলক্ষে বিগত কয়েক মাস ধরে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। এর মাধ্যমে দেশে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনও সুস্থ ধারায় ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ। ডাকসুর জন্য পাঁচ পাতার ব্যালট ও হল সংসদের জন্য থাকবে এক পাতার ব্যালট। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে ভোট গুনতে হবে ছয় পাতার ব্যালটে। এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে।