সোহাগ হত্যাকাণ্ডে মন ভেঙে গেছে বাঁধনের

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে মন ভেঙে গেছে বাঁধনের
আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভেঙ্গে পড়েছেন অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন। আলোচিত এ হত্যাকান্ডকে নৃশংস উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ শোবিজ তারকা।

শনিবার অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার ইনস্টাগ্রামে পরপর তিনটি পোস্ট দিয়ে তাঁর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপ ও চিত্র দেখে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এটা এক ভয়াবহ চিত্র, মানসিক অবস্থা ভেঙে দেওয়ার মতো দৃশ্য।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগের হত্যার ঘটনায় বাঁধনের পরিবারও উদ্বিগ্ন বলে জানালেন। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা-মা আমার নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। আর আমার মেয়ে—সে শুধু আমাকেই পেয়েছে। আমি–ই তার পুরো পৃথিবী। কিন্তু আমি কীভাবে তাকে নিরাপদ রাখি, এমন এক দেশে? আমরা আসলে কী ধরনের দেশে বাস করছি? এখানে নেই কোনো নিরাপত্তা। নেই মন শান্ত করার সুযোগ। আমরা ভেবেছিলাম, সময় বদলাবে। স্বপ্ন দেখেছিলাম, এক নিরাপদ, সুন্দর ভবিষ্যতের। নতুন সরকার এল, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু এখন যা দেখছি, তা ভয়াবহ। আর যদি কোনো নির্বাচিত সরকার পরিবর্তনের সাহস না রাখে, কোনো ভবিষ্যৎ দেখাতে না পারে—তাহলে এর মানে কী? আমি ভীত। আমি ক্ষুব্ধ। আর সবচেয়ে বেশি যেটা, তা হলো আমি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি।’

ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগের হত্যার সময় অনেক মানুষ পাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখেছে। এ বিষয়টিও মানতে পারছেন না বাঁধন। তাঁর লেখায় সেটিও উঠে এসেছে। বাঁধন লিখেছেন, ‘একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফেলছে—আর বাকিরা দাঁড়িয়ে শুধু দেখল! এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা আসলে কোন দেশে বাস করছি? মানুষ দেখল, কিছুই করল না। এটাই সবচেয়ে ভয়ের বিষয়। আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাই না। আর কেউ কি এটা অনুভব করছে? মনে হয় না, যেন আমরা নরকে বাস করছি? আর সরকার? নীরব। সব সময়ের মতোই। তারা কোথায়? তারা কথা বলে না কেন? তারা কিছু করে না কেন? কীভাবে একজন মানুষ এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে?’

দেশে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নতার প্রশ্ন তুলে বাঁধন বলেন, ‘এই দেশে আমি কি আদৌ নিরাপদ? আমি কি আমার মনের কথা বলার অধিকার রাখি? নাকি শুধু সত্য বলার অপরাধে আমি–ই হব পরবর্তী শিকার?’


মন্তব্য