যে অভিশাপ থেকে দেশের মুক্তি চাইলেন অভিনেত্রী

ফারিয়া
  © ফাইল ছবি

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এ কারণে তাকে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। তবুও থেমে থাকেননি এই অভিনেত্রী। সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, নতুন বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। 

তবে সম্প্রতি দেশের বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে হতাশা শোনা গেল অভিনেত্রীর কণ্ঠে। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আক্ষেপ প্রকাশ করেই ফারিয়া বলেছেন, ‘এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেবো, জানি না।’

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাইকে অপমান করে সেই শোক কমায়। আর বাকিরা চাঁদাবাজি/ডোনেশন/হাদিয়া নিয়ে কামড়া-কামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!’

নিজেকে সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে শবনম ফারিয়া আরও লেখেন, ‘মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি।’

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ‘ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে?’ আর অন্য পক্ষ বলে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন!!!’

শবনম ফারিয়ার এই পোস্টে ধরা পড়েছে নাগরিক হতাশা ও রাষ্ট্রীয় সংকটের প্রতিফলন। স্ট্যাটাসের একাংশে তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংকটের দিকটিও তুলে ধরে বলেন, ‘এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাবো আমরা?’

শেষে দেশের ভবিষ্যৎ ও রাজনীতি প্রসঙ্গে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘হে আল্লাহ, রাজনীতি নামক এই অভিশাপ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করো। আমিন।’

ফারিয়ার এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেন, এটাই তো ছেয়েচিলেন আপনারা! সুন্দর একটা দেশকে পানিতে নামাইয়া এখন নাটক করেন। ও আপনি তো নাটকেরই লোক, আপনাদের দ্বারাই মানায়! চালিয়ে যান। এখন আমাদের সামনের পথ ক্লিয়ার। চোখে শুধু ধান্ধা দেখি।

সেই মন্তব্যের জবাবে ফারিয়া বলেন, আপনাদের বড়দের চুরি চোট্টামি একটু কম করলে, আর জুলাইয়ে পোলাপানদের গুলি না করলে আমাদের এতো কিছু করতে হতো না!


মন্তব্য