এবার হাসিনার কন্যাকেও ছুটিতে পাঠাল ডব্লিউএইচও
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:৩০ AM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:৫০ PM
-11257.jpg)
মায়ের পতনের পর এবার শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (সিয়ারো) আঞ্চলিক পরিচালকের পদ থেকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
হেলথ পলিসি ওয়াচ জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেব্রিয়েসুস একটি অভ্যন্তরীণ বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুতুলের অনুপস্থিতিতে সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক ডা. ক্যাথারিনা বোহমে ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আগামী ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে সিয়ারো দপ্তরে যোগ দেবেন।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে, এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন পুতুল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব খাটিয়ে তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পুতুল তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘অনারারি’ পদে থাকার দাবি করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এসব অভিযোগ বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় জালিয়াতি ও জাল দলিল সংক্রান্ত অপরাধের আওতায় পড়ে।
বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায়, তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সফরেও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া, সায়মা ওয়াজেদ সূচনা ফাউন্ডেশনের সাবেক প্রধান হিসেবেও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুদকের দাবি, তিনি দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২৮ লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছেন। তবে এই অর্থ কোথায় এবং কীভাবে ব্যয় হয়েছে- সে সম্পর্কে মামলার নথিতে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা ও অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পদ গ্রহণ) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সায়মা ওয়াজেদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। তিনি বাংলাদেশে ফিরে এলে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও জানা গেছে।