গাজায় দুর্ভিক্ষে নিহত ৩ শতাধিক

গাজা উপত্যকা
গাজা উপত্যকা  © আনাদোলু

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করছে, যেখানে অব্যাহত হামলার কবলে হাসপাতালসহ কোনো স্থানই রেহাই পাচ্ছে না। ফলে প্রাণ হারিয়েছেন শত শত ফিলিস্তিনি।

বুধবার (২১ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে ২ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আরও অন্তত ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল সীমিত পরিমাণে মানবিক সহায়তা ঢুকতে অনুমতি দিলেও মঙ্গলবার গাজায় কোনো ধরনের ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু চরম অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাজ্য গাজায় ভয়াবহ হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজার বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান এয়াল জামির ক্রমবর্ধমান সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে গাজায় সম্প্রসারিত হামলা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার মতো গাজার মানবিক দুর্ভোগ কমাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ওয়াশিংটন প্রস্তুত নয়। পশ্চিমা এই দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৫৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৮ জন। সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, উপত্যকায় নিহত ৬১,৭০০ জন ছাড়িয়েছে। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।