অর্থনীতিতে পাকিস্তানের বড় সাফল্য
- আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০২:০২ PM , আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫, ০২:০২ PM

গত ৯ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে দেশটির বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪.৪৯ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের ২৩.৪১ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
মূলত খাদ্যপণ্য ও পরিবহন ব্যয়ের হ্রাস মুদ্রাস্ফীতি কমানোর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। মঙ্গলবার পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, এই পতনের পেছনে রয়েছে আগের বছরের উচ্চ ভিত্তি, খাদ্যপণ্যের দামের নিম্নমুখী ধারা এবং পরিবহন ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন আজ বুধবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের এই মুদ্রাস্ফীতির হার ২০১৫-১৬ সালের পর সর্বনিম্ন। সেবছর দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল মাত্র ২.৯ শতাংশ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তান বর্তমানে ডিসইনফ্লেশন পর্যায়ে রয়েছে, অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির গতি কমছে। তবে এটি ডিফ্লেশন নয়, যেখানে সামগ্রিক মূল্যস্তর কমে যায়। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) জানায়, গত ৫৩ মাসে ভোক্তা পণ্যের গড় দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচকে এখনও অনেক বেশি করে রেখেছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এনেছে ৫-৭ শতাংশে (আগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ শতাংশ)। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি হবে ৯.৫ শতাংশ, যা আগের ১২.৭ শতাংশের পূর্বাভাস থেকে কম।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য শেহবাজ শরিফের সরকার মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭.৫ শতাংশ।
এদিকে সদ্যসমাপ্ত জুন মাসে মাসিক ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৩.২ শতাংশ, যা গত মে মাসের ৩.৫ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এছাড়া সিপিআই-ভিত্তিক মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতি বেড়েছে মাত্র ০.২ শতাংশ।
জুনে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল শহরে ৪.২ শতাংশ এবং গ্রামে ২.৪ শতাংশ। অখাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি শহরে ছিল ২.২ শতাংশ, গ্রামে ৪.৭ শতাংশ। মূলত টানা চার মাস ধরে দাম কমার পর, জুনে খাদ্যপণ্যের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।