শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা
- আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:২৪ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০১:২৪ PM
-12430.jpg)
শুল্ক নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর যে শুল্ক আরোপ করবে, তার সর্বনিম্ন হার হবে ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টাপাল্টি শুল্ক নির্ধারণে ১৫ শতাংশের নিচে নামবে না। খবর ব্লুমবার্গের।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ জুলাই) ওয়াশিংটনে এক এআই সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমাদের শুল্ক হার হবে সহজ ও সোজাসাপটা—১৫ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে। কিছু দেশের ক্ষেত্রে এটি ৫০ শতাংশে পৌঁছবে, কারণ তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়।
ট্রাম্পের এ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতিতে তার নতুন আগ্রাসী অবস্থানের ইঙ্গিত বহন করছে। তিনি প্রায় প্রতিটি বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর শুল্ক আরোপে আগ্রহী। চলতি জুলাই মাসের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ১৫০টিরও বেশি দেশকে চিঠি পাঠানো হবে, যেখানে শুল্ক হার হতে পারে ১০ বা ১৫ শতাংশ। যদিও তখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে এপ্রিল মাসে দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রায় সব দেশের জন্য ১০ শতাংশের একটি সর্বজনীন শুল্ক কার্যকর করা হবে। তবে এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসে তিনি ১৫ শতাংশকে সর্বনিম্ন স্তর হিসেবে ধরেছেন।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সিবিএস নিউজকে বলেন, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও আফ্রিকার অনেক ছোট দেশের জন্য প্রাথমিক শুল্ক হার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে।
ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা শুরুতে একাধিক চুক্তি করে শুল্ক কমানোর আশা প্রকাশ করলেও এখন প্রেসিডেন্ট নিজেই শুল্কসংক্রান্ত চিঠিগুলোকেই 'চুক্তি' হিসেবে প্রচার করছেন এবং আলোচনার সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছেন। যদিও তিনি দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেননি—দেশগুলো চাইলে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমানোর সুযোগ পেতে পারে।
মঙ্গলবার ট্রাম্প জানান, জাপানের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হবে। এর বিনিময়ে জাপান কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এখনো শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে চাচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, সব দেশের সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব নয়, তাই কিছু দেশের জন্য সাধারণ শুল্ক কাঠামো থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনাকে তিনি 'গুরুত্বপূর্ণ' বলে উল্লেখ করে বলেন, যদি তারা আমেরিকান ব্যবসার জন্য দরজা খুলে দেয়, তাহলে আমরা তাদের জন্য কম শুল্ক নির্ধারণ করতে পারি।