ইসরায়েলি তেল শোধনাগারে ইরানের হামলায় নিহত ৩
- আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৫১ PM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৫১ PM

ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বাজান তেল শোধনাগারে আঘাত হানে, যেখানে তিনজন নিহত হন। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৭ জুন ভোরের আগে, তবে তা প্রকাশ্যে আসে সোমবার (১৮ আগস্ট) বার্তাসংস্থা মেহেরের এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
প্রতিবেদনটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হিব্রু ডেইলি-এর বরাতে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি শোধনাগারের অভ্যন্তরে একটি কক্ষে আঘাত হানে। এতে ধ্বংসস্তূপ ও আগুনে আটকে পড়ে ওই কক্ষে অবস্থানরত তিনজন প্রাণ হারান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ হামলায় ইসরায়েলের জ্বালানি স্থাপনা ও আলোকসজ্জা ব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাজান কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, তাদের সব স্থাপনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসে ধীরে ধীরে উৎপাদনে ফিরবে তারা।
কোম্পানিটি ধারণা করেছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দখলদার ইসরায়েল গত ১৩ জুন থেকে টানা ১২ দিন ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্ডো ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
ইসরায়েলের ওই আগ্রাসনের জবাবে ইরানি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স ট্রু প্রমিজ-৩ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডজুড়ে ২২ দফা পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যাতে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে।
এছাড়া, মার্কিন হামলার জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেসে (যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি) একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
এর পরদিনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যা ২৪ জুন থেকে কার্যকর হয় এবং সংঘর্ষ থেমে যায়।