মোদি-শি বৈঠকে কী আলোচনা হলো?

মোদি-শি
  © সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর চীন সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে। 

আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

চীনের তিয়ানজিনে দুদিনের শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

বৈঠকে মোদি বলেন, ‘গত বছর কাজানে আমাদের খুব ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল, যা আমাদের সম্পর্ককে ইতিবাচক দিক নির্দেশ দিয়েছে। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’

এর আগে গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠক হয়েছিল।   

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়া এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে যুক্ত। এটি সমগ্র মানবতার কল্যাণের পথও প্রশস্ত করবে।’

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘ভারত এবং চীনের জন্য বন্ধু এবং ভালো প্রতিবেশী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। চীন এবং ভারত দুটি সভ্যতার দেশ। আমরা বিশ্বের দুইটি সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের অংশ। তাই বন্ধু হওয়া, ভালো প্রতিবেশী হওয়া এবং এক হয়ে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।’

প্রায় ৭ বছর পর গতকাল শনিবার চীনের মাটিতে পা রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশ দুটি দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২০ সালে তারা একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভারত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে কোয়াড নিরাপত্তা জোটেরও অংশ। এই জোটকে চীনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হয়।

কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে আটকে ভারত ও চীনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে গেছে।


মন্তব্য