মাচাদোর নোবেলজয়ে মাদুরোর কড়া প্রতিক্রিয়া
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪১ AM , আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪১ AM

ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক পরিবর্তনের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
পুরস্কার ঘোষণার পরপরই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নরওয়েতে দেশটির দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, এ সিদ্ধান্ত নরওয়ের বিরুদ্ধে নয়; বরং এটি দেশের অভ্যন্তরীণ কূটনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নরওয়ের রাজধানী অসলোতে অবস্থিত ভেনেজুয়েলার দূতাবাস বন্ধ করা হবে, পাশাপাশি “শান্তি ও সংহতির ভূ-রাজনৈতিক নীতি” অনুসারে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপটি ভেনেজুয়েলার আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়ার অংশ।
উল্লেখ্য, নরওয়ের সরকার ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মাদুরো ও ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের মধ্যে আংশিক ও অনিয়মিত আলোচনার মধ্যস্থতা করেছিল, যা বার্বাডোস চুক্তিতে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। মাদুরোর এ সিদ্ধান্ত, নরওয়ের সঙ্গে ভবিষ্যতে যোগাযোগ সীমিত করার ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে মারিয়া কোরিনা মাচাদো ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কার একটি স্বাধীন কমিটি দেয়, যা নরওয়ের সংসদ দ্বারা গঠিত এবং সরকারের বৈদেশিক নীতি বা প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
এর পাশাপাশি ভেনেজুয়েলা নতুন দূতাবাস খুলছে জিম্বাবুয়ে ও বার্কিনা ফাসোতে, যা ‘গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে’ নেওয়া পদক্ষেপ।
মাদুরোর সরকারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও নিভৃত একা থাকা পরিস্থিতির মধ্যে, সংলাপের পথও সীমিত হচ্ছে। এর আগে, ভেনেজুয়েলা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য প্রস্তাবনা চেয়েছিল। তবে প্রতিবেশী দেশগুলো একমত নন; ব্রাজিল ও কলম্বিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে, অন্যদিকে গায়ানা ও ট্রিনিদাদ ও টোবাগো যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি