দখলদারদের নৃশংসতার শিকার ফিলিস্তিনি নারী

ইসরায়েল
  © সংগৃহীত

দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এই নৃশংসতা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। নিজের জমির জলপাই গাছের জলপাই তুলতে গিয়ে ইসরায়েলি সেটেলারের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন এক নারী। ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের তুরমুস আয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। যা যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জাসপার নাথানাইলের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, মুখ ঢাকা ইহুদি সেটেলার আফাফ আবু আলিয়া নামে ৫৫ বছর বয়সী ওই নারীর মাথায় এত আঘাত করেছে যে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এমনকি জ্ঞান হারানোর পরও তার শরীরে আঘাত করতে থাকে মাস্ক পরা এ ইসরায়েলি সন্ত্রাসী।

সাংবাদিক জাসপার নাথানাইল জানিয়েছেন, গত ১৯ অক্টোবর তুরমুস আয়া গ্রামের বাসিন্দারা মৌসুমের প্রথম জলপাই তুলতে যান। তখন সেখানকার কৃষকরা বিভিন্ন বাধার মুখে পড়েন। এরমধ্যে ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশে সেটেলার হামলা চালায়।

তিনি বলেছেন, তাকে এবং ফিলিস্তিনি কৃষকদের হামলাস্থলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এরপর সেখানে অতর্কিত হামলা চালায় সেটেলার।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যম এক্সে প্রকাশ করেছেন তিনি। যেসব সেটেলার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি। তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেনি ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হামলাকারী সেটেলারদের তারা সরিয়ে দিয়েছে। তবে মার্কিন এ সাংবাদিক বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে কোনো সেনা আসেনি বরং তারা হামলায় সহায়তা করেছে।

এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তা সত্ত্বেও মুখোশধারী ওই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যববস্থা নেয়নি ইসরায়েল।


মন্তব্য