বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৯ PM , আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৯ PM

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী এক বছরে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিতে পারে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া।
আজ বুধবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাপানের শ্রম বাজার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন আমাদের সবাই বলছে, সিন্ডিকেট করা যাবে না। এখন সিন্ডিকেট না করতে হলে চুক্তি পরিবর্তন করতে হবে। সেটা তো মালয়েশিয়া সরকারকে পিটিয়ে করতে পারব না। এখন তার সঙ্গে আমার সমঝোতা করতে হবে। যদি সে চুক্তি পরিবর্তন না করে তাহলে আমার সামনে দুইটা পথ খোলা আছে। এক হচ্ছে তার কথা অনুযায়ী ২৫, ৫০ বা ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাঠানো।”
তিনি আরও জানান, “আরেকটি হচ্ছে তাদেরকে বলা যে আমরা লোকই পাঠাব না। এখন আমি যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোক পাঠাই তাহলে সবাই বলবে আমি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আবার যদি কর্মী না পাঠাই তাহলে আমার ৪০ হাজার কর্মী যেতে পারবে না। এটা মালয়েশিয়া মনে রাখবে। এর ফলে পরবর্তী সময়ে আমাদের এক থেকে দুই লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
জাপানের শ্রমবাজার নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, জাপানে কর্মীর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেই চাহিদা পূরণের সক্ষমতা কি আমাদের রয়েছে। কারণ আমাদের অদক্ষ শ্রমিক আছে। ভাষা শিখছে, কিন্তু সে দক্ষ হতে পারছে না। এখন সমাধান একটাই, জাপানের চাহিদা অনুযায়ী কর্মীকে দক্ষ করতে হবে। একটা ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট করা হবে। জাপানের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দিক থেকে কোনো প্রক্রিয়া রাখব না।
তিনি বলেন, কর্মীদের দক্ষ করার জন্য আমরা প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের কথা ভাবছি। এ ছাড়া, আমরা জাপানি উদ্যোক্তাদের বলছি যে আপনি টিটিসির দায়িত্ব নিয়ে নেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে জাপান থেকে লোক এনে দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেন। আমরা পুরো টিটিসি আপনাকে দিয়ে দেব।
আসিফ নজরুল জানান, ইতোমধ্যে মনোহরদী টিটিসি আমরা দিয়ে দিয়েছি। আমরা তাদের বলেছি যে আপনারা আপনাদের মতো তৈরি করে নেন। একটা মডেল নিয়ে আমরা আগাচ্ছি। আরেকটা মডেল হচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পার্টনারশিপে যাওয়ার চিন্তা করছি।