কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বাংলাদেশি গ্রেপ্তারে কী মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে প্রভাব পড়বে?
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ AM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ AM
-10712.jpg)
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে দেশের অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে শ্রমবাজারে তাৎক্ষণিক কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে যৌথ তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি যেসব বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, “এদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ নেই। আপনাদের সহায়তা নিয়ে তা নির্মূল করা হয়েছে। আপনাদের ক্রেডিট সবচেয়ে বেশি। এই ১০ মাসে কোনো তথ্য আসেনি জঙ্গিবাদের। আগে ছিল, আপনারা তথ্য দিতে পারছেন। এখন নাই, তাই আপনারা দেন না।’”
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। কারণ মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাসব্যাপী তদন্তের পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।
অভিবাসন বিশ্লেষক শরিফুল হাসান বলেন, ‘মালয়েশিয়াতে যে ঘটনা ঘটেছে আমার সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, এই পুরো ঘটনা যেন তদন্ত করা হয়। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কারা অর্থ দিল, তাদের কারা প্ররোচনা দিল। এই বিষয়গুলো তদন্ত করে বের করতে হবে।’
অভিবাসন বিশ্লেষক আসিফ মুনীর বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যে গোয়েন্দা তথ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি নিয়ে দেশের গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে দেখা দরকার। দেশে তাঁদের অতীত কর্মকাণ্ড কেমন ছিল এসব খতিয়ে দেখতে হবে।’
গ্রেপ্তার হওয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
শরিফুল হাসান বলেন, ‘সার্বিকভাবে এসব ঘটনা শ্রমবাজারে প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না আমার কাছে। কেননা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট যতটা শক্তিশালী সেখানে এই ঘটনা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আমার কাছে মনে হয় না।’
অভিবাসন বিশ্লেষকদের মতে, বিদেশে কর্মী পাঠানোর আগে আরো যাচাইবাছাই করা উচিত।