বহুল আলোচিত লামিয়া ধর্ষণের রায় ঘোষণা
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৯ PM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৯ PM
-12254.jpg)
পটুয়াখালীর বহুল আলোচিত জুলাই শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে তিন আসামির মধ্যে দুজনকে ১৩ বছর এবং একজনকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে উল্লেখ করা হয়, দণ্ডপ্রাপ্তরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। ফলে শিশু আদালত আইনের আওতায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি গ্রামে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৮) নানাবাড়ি যাওয়ার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর তিনি নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
ধর্ষণের ঘটনার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে লামিয়া ওই বছরের ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন। পরে তার মরদেহ নিজ গ্রামে এনে শহীদ বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমরা মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালত যে ন্যায়বিচার দিয়েছেন, তা লামিয়ার আত্মার শান্তির জন্য কিছুটা হলেও সান্ত্বনা বয়ে আনবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, এই মামলার রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা—কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে, সে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমার মক্কেলরা নির্দোষ। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাধারণ মানুষ, নারী অধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।