লাশের তালিকায় ১৯ শিক্ষার্থী

বিমান বিধ্বস্ত
  © সংগৃহীত

এ যেন আরেক রক্তাক্ত জুলাই নেমে এসেছে বাংলাদেশের বুকে। সেদিন যেমন করে হায়েনার বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত দেহের ভারে ভারি হয়ে উঠেছিল আকাশ বাতাস, আজও তেমনি একের পর এক শিক্ষার্থীর আগুনে ঝলসানো শরীরের উপস্থিতিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে ১৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো কমপক্ষে ৫০ জনের বেশি আহত বলে জানালো ফায়ার সার্ভিস। যাদের অনেকের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। 

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৯টি ইউনিট ও ৬টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলমান আছে।

এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৫০ জনের বেশি দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।


মন্তব্য