কেন ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় বিমান ঘাঁটি? প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

বিমান বিধ্বস্ত
ছবি: ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহর ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন নিহত এ ১৭২ জন গুরুতর আহতের খবর পাওয়া গেছে। মূলত প্রশিক্ষণ বিমানটি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হওয়ায় এত বিরাট সংখ্যক নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও মারা গেছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় গোটা জাতি শোকে স্তব্দ, মূহ্যমান।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে রাজধানী ঢাকার মত একটি ঘন বসতিপূর্ন এলাকায় কেন প্রশিক্ষণ ঘাঁটির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে?

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই এমন ঘন ও জনবসতি পূর্ন এলাকায় এমন প্রশিক্ষণ ঘাঁটি নেই। বিশেষ করে ঢাকার মত এমন একটি বর্ধিঞ্চু শহরেতো প্রশ্নই ওঠে না।

তাহলে ঢাকায় এখনো কেন এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে? তারা আরো প্রশ্ন করেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কেন রাজধানীর আশেপাশে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থানান্তর বা তৈরি করা হলো না? যেখানে ঢাকার আশেপাশের এলাকায় সরকার বিরাট বিরাট অনেক প্রকল্প শিফট কিংবা প্রতিষ্ঠা করেছে সেখানে কেন এখনো বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ঘাঁটির কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে?

আজকের বিমান বিধ্বস্তের জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপ্তি এতটাই বিস্তৃত যে এর সঠিক নিরুপন করা মোটেও সম্ভব হবে না। কারণ এতগুলো স্কুল শিশুর মৃত্যু বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়টি ঘটেনি বলে ধরা হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই সামাজিক মাধ্যমসহ বহু জায়গায় এই আলোচনা হচ্ছে যে কেন এমন একটি ঘনবসতি পূর্ন শহরে বিমানের প্রশিক্ষন ঘাঁটির কার্যক্রম চলছে। এটি কি শহরেই অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে?

আর্ন্তজাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ ফেসবুকে তার ভ্যারিফায়েড পেইজে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি লিখেন, ‍"বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেখানে একটিমাত্র রানওয়ে এবং অনেক ডমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করে সেইসব জায়গায় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি চোখে পরে না। আমি ইউরোপের অনেক দেশ যেমন হিথ্রো, ফ্র্যাঙ্কফুট, প্যারিস, ব্রাসেললস ইত্যাদি দেশে অবতরণ করেছি। কিন্ত কোথাও কোন ফাইটার দেখি নাই।"

এরপর তিনি আর্ন্তজাতিক রুটে চলাচলকারী অন্যান্য পাইলটদের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরে লিখেন "ঢাকায় ফ্লাই করার সময় আমার সাথেও দুইবার ফাইটার খুব কাছাকাছি এসেছিল এবং TA (Traffic Alert) সংকেত এসেছিল। মাঝে মাঝে আমাদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় যখন একে একে উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।

তিনি আমিরাতের এক পাইলটের উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন। সেখানে ওই পাইলট বলেছিল” I’m holding for take off for last 35 min with Boeing 777, if I hold for another 20 min then I had to  go to bay to refuel again”.


মন্তব্য