শায়খ আহমাদুল্লাহর প্রশ্ন, কীভাবে শোধ করব ইতিহাসের দায়?
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৪ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ PM

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় গণহত্যা শুরু করেছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির অব্যাহত হামলায় প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন শুরু করেছে দেশটি। হামলার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে অবরুদ্ধ গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই দৃশ্যগুলো নাড়া দিচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের নাগরিকদের। ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা নাড়া দিয়েছে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহকে। ফিলিস্তিনিদের কষ্টের কথা তুলে ধরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন, আমাদের সন্তানদের একবেলার ক্ষুধার কষ্ট দেখেই আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। অথচ গাজার লাখ লাখ শিশু দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে তিল তিল করে মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মানবতার ধ্বজাধারীরা একদিকে তাদের ওপর বোমা ফেলছে। আবার যারা বোমা থেকে বেঁচে যাচ্ছে, তাদেরকে মারছে খাবারের কষ্ট দিয়ে।
তিনি বলেন, এই বিপুল খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য অপচয়ের যুগে, এই পৃথিবীরই একটি ভূখণ্ডে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, আমাদের চোখের সামনে একটি জীবন্ত শহরকে গোরস্তান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, অথচ তার কোনো অভিঘাত আমাদের জীবনের ওপর পড়ছে না।
বিশ্ব মোড়লদের নিরবতায় আফসোস করে তিনি বলেন, আরববিশ্ব, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা কিংবা বিশ্বনেতারাও নিশ্চুপ। আটশ কোটি মানুষ আমরা ইতিহাসের এই দায় কীভাবে শোধ করব!
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, হে আল্লাহ, যাদের কারণে গাজার শিশুরা অনাহারে মরছে, তাদের জন্য তুমি দ্বিগুণ শাস্তির ব্যবস্থা করো।
ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধার কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে ক্ষুধার কষ্টের মৃত্যুই হয়তো সব থেকে কঠিন। কারণ, অন্যান্য দুর্ঘটনার মৃত্যু হঠাৎ করে আসে। কিন্তু অনাহারের মৃত্যু মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে। গাজার শিশুদের কঙ্কালসার শরীর দেখেও যাদের বিবেক জাগ্রত হয় না, তাদের ঘুম আর কীসে ভাঙবে!