ঢাকা-দিল্লি বৈঠক আজ
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ AM , আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ AM

১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এই চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে বসছে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক।
জেআরসির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকার পক্ষ থেকে সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল ইতোমধ্যে নয়াদিল্লি পৌঁছেছে। বৈঠকের মূল এজেন্ডা থাকবে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে দায়িত্বে আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। বাংলাদেশের পট পরিবর্তনে ঢাকা-দিল্লি দুই পক্ষের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকলেও পানি ইস্যুতে উভয় পক্ষ নিয়মিত আলোচনা করছে। চলতি বছরের মার্চে দুই পক্ষের মধ্যে দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রতি বছর দুইবার করে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গা ছাড়া আর কোনো নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি হয়নি। তিস্তার পানিবণ্টনের প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। এর প্রধান কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহযোগিতা ও তার আপত্তি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সই করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছরের। আগামী বছর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন মাসে দুই দেশই ঘোষণা দেয় যে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি নবায়নের জন্য প্রযুক্তিগত আলোচনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের রুটিন বৈঠক। গঙ্গা চুক্তির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা করি চুক্তির বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। অফিসিয়াল এই আলোচনায় আমরা অন্য কোনো অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করি না। আমাদের আরও ১০-১৫টা অ্যাজেন্ডা আছে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করি না। চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে মূল আলোচনা।’
এদিকে, গত ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে গঙ্গা নদীর চুক্তি নবায়ন ইস্যুতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব আলাপ করেন। সে সময় বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, ‘আলোচনায় আন্তঃনদী বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তা নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’