জুলাই সনদ ইস্যুতে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জুলাই
  © ফাইল ছবি

জুলাই মাসের সনদ স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারের তলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা শেরেবাংলা নগর থানায় করা হয়েছে।

শেরেবাংলা নগর থানার সূত্রে জানা গেছে, সব মামলার বাদী পুলিশ। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বাকি তিনটি মামলার বাদী শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। সব মামলার আসামি অজ্ঞাত। আনুমানিক ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কমপক্ষে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; তার নাম রিমন চন্দ্র বর্মন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক।

তিনি বলেন, গতকালের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চারটির মধ্যে একটি মামলা একজন ট্রাফিক পুলিশ বাদী হয়ে করেছেন। বাকি তিনটি মামলা থানা পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তকারী, অনিষ্টকারী, ক্ষতিসাধনকারী, নাশকতাকারী ও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের লোকজনকে। এই চার মামলার সব আসামি অজ্ঞাত। এই চার মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে। চারটি মামলার মধ্যে একটি মামলার অভিযোগ সংরক্ষিত এলাকায় জোরপূর্বক প্রবেশের। অপরগুলো হলো– পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও কন্ট্রোল রুম পোড়ানোর মামলা।

এর আগে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নিজেদের তিনটি দাবি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে একদল লোক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আন্দোলন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটে অবস্থান করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আগে থেকেই আন্দোলনকারীদের একাংশ সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান করছিল। সংসদ ভবনের ভেতরে থাকা অংশটি অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেয়।

একপর্যায়ে বাইরে থাকা অংশটি সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরে ভেতরে থাকা অংশটি বাইরে চলে আসে। এসময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ও চেয়ার নিক্ষেপ করে। এরপরই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

কয়েক দফা সংঘর্ষে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সড়কে আগুন ধরিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।


মন্তব্য