২১ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি আগুন
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ PM
-11940.jpg)
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নিভেনি। অগ্নিকাণ্ডের ২১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দূর থেকে এখনো ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুই দিক থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি উদ্ধারকাজও চলছে পুরোদমে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল কার্গো ভিলেজ এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, এখনও আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। নির্বাপণ করতে কতো সময় লাগতে পারে, সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য বিপুল পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি।
এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে। আগুনের সূত্রপাতের অল্প সময়ের মধ্যেই বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরতরা কাজ শুরু করলেও তীব্রতা বাড়তে বাড়তে পুরো কমপ্লেক্সেই ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া ফ্লাইট চলাচল। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ফ্লাইট সচল করতে বেজে যায় রাত ৯টা। ফায়ার সার্ভিস রাতেই জানিয়েছিল, আগুন আর নতুন করে বাড়ার বা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি আগুন। এছাড়া, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আনসার বাহিনীর ২৫ সদস্যসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কার্গো ভিলেজের (পণ্য রাখার স্থান) যে অংশে আগুন লেগেছিল, সেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল ক্ষয়-ক্ষতির শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় কোনও মামলা না হলেও আগুনের উৎস তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সেইসঙ্গে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পাওয়া গেলে সরকার ‘তাৎক্ষণিক ও দৃঢ়’ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।