দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে যা বলল পুলিশ

বিমানবন্দর
  © ফাইল ছবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডসহ সম্প্রতি রাজধানী ও চট্টগ্রামে সংঘটিত তিনটি আগুনের ঘটনার পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিমানবন্দরে আগুন লাগার পরই মৌখিক নির্দেশে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

এছাড়া জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা থাকে। কেপিআই এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।’

সরকারি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ, সচিবালয়, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৫৮৭টি স্থাপনা কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালায় নিয়মিত টহল, প্রতিবেদন পাঠানো, সিসিটিভি, ভেহিকেল সার্চ মিরর ও লাগেজ স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশ রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, বিমানবন্দর বা ইপিজেডের মতো স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলা অস্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে এর পেছনের রহস্য উদ্‌ঘাটন করা।


মন্তব্য