‘দেশটার বিরুদ্ধে ড. ইউনূস শিরদাঁড়া শক্ত করে দাঁড়িয়েছেন’

জাহেদ
  © ফাইল ছবি

দেশকে রক্ষায় ড. ইউনূস শিরদাঁড়া শক্ত করে দাঁড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেছেন, “আমি প্রায়ই বলি ড. ইউনূসের এই একটা জিনিস বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব শক্তভাবে কঠোরভাবে লেখা থাকবে, যে দেশটা বাংলাদেশকে একটা স্লেভ হিসেবে দেখতে চায়, একটা ভেসেল স্টেট, একটা কলোনি হিসেবে দেখতে চায়, তার সামনে শিরদাঁড়া শক্ত করে দাঁড়িয়েছেন, চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন।”

আজ বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ডা. জাহেদ বলেন, “আমি মনে করি তিনি যে একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করছেন, এই জায়গায় সেটার কাছাকাছি আসলে অন্যান্য দেশকে থাকতে হবে, অন্যান্য দল যারা ক্ষমতায় আসবে ভবিষ্যতে এটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এই জিনিসটা মেনটেইন হওয়া দরকার আছে।”

সম্প্রতি মেহেদি হাসানের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞা সরকার চাইলেই তুলে নিতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবটা ড. ইউনূস ডিপ্লোম্যাটিক্যালি বেটার দিতে পারতেন। আমরা এভাবে যদি বলি, উনি চাইলে এটা বলতে পারতেন যে আওয়ামী লীগের বিচার হবে আইসিটিতে। সেই বিচারের যখন রায় হবে, সেটাই নির্ধারিত হবে সে দল হিসেবে থাকবে, নাকি থাকবে না।’

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘সরকার চাইলে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার কালি তুলে নিতে পারে। কেন? আমরা জানি আওয়ামী লীগকে বিচারের কথা হচ্ছে। আইসিটি যে আইন আছে তাতে আওয়ামী লীগের সময়ই সংগঠনের বা দলের বিচারের অপশন ছিল। এই সরকার সেটা রেখেছিল এবং তাতে শাস্তি যুক্ত করে উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হয়।

সারপ্রাইজিংলি উপদেষ্টা পরিষদ সেটা বাদ দিয়ে দেয়। মানে দলকে বিচার করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে আছে নিশ্চয়ই, জনাব হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটা আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংগঠনকে বিচার করা যাবে বলে আবার আইসিটিতে ঢোকানো হয়।

আরেকটা কাজ করা হয়, সেটা হচ্ছে ২০০৯ সালের যে সন্ত্রাস দমন আইন, সেখানে একটা ধারা যুক্ত করে বলে দেওয়া হয় যে চাইলে কোনো দলের কর্মকাণ্ড বা কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা যাবে। তার মানে, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড-কর্মসূচি নিষিদ্ধ আছে এক্সিকিউটিভ অর্ডারে। কোনো বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত না।’

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘আইসিটিতে এখনো আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ফরমাল কোনো চার্জ আনা হয়নি। ইনভেস্টিগেশন ও বিচার তো দূরেরই কথা।

তার মানে আওয়ামী লীগের বিচার, অভিযোগ তৈরি করা, মামলা করা, ইনভেস্টিগেট করা, হিয়ারিং হওয়া—এগুলো হতে হতে এই নির্বাচনটা থাকছে না। আর সরকার যেহেতু এক্সিকিউটিভ অর্ডারে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে, সেই কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে তো নির্বাচনে পার্টিসিপেট করা সম্ভব না।’


মন্তব্য