কার ওপর জাতি ভরসা করবে?
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২ AM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২ AM

বাংলাদেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—নিয়ে জনমনে দীর্ঘদিন ধরেই আক্ষেপের সুর শোনা যায়। উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় আসার পর দল দুটির কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা হয়েছে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা এহতেশাম টি মুকুট এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের কর্মকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুটি ছবি শেয়ার করে একটি স্ট্যাটাসে সেই ইতিহাস তুলে ধরেন।
বাংলাকণ্ঠ পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
"কার উপর জাতি ভরসা করবে? আওয়ামী লীগ না বিএনপি। এই ছবির দুজনকে সকলেই চিনেন। স্বাধীনতার পর পর আইভি রহমানের অনুরোধে আইভির বড় বোনের ছোট ছেলে তারেক সিদ্দিকীকে শেখ মুজিব রক্ষী বাহিনীতে অফিসার পদে নিয়োগ দেয়।
মাসুদ ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসাবে রক্ষী বাহিনীর অফিসার হন। দুজনের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক। ১৯৭৫ ১৫ই আগস্টের পর রক্ষী বাহিনী বিলপ্তি হয়ে যায়। রক্ষী বাহিনীর সকল সদস্যকে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৮ সন পর্যন্ত পল্লবীতে অবস্থিত আমাদের পাশের বাসা স্টাফ কলেজের অফিসারদের জন্য বরাদ্ধ করা হয়। অনেক সেনা অফিসার আসতেন। আবার স্টাফ কলেজ শেষ হলে চলে যেতেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মেজর আলাউদিন। বিশিষ্ট ভদ্র মানুষ। আমার মা একদিন আলাউদ্দিন ভাইকে বললেন, বাবা, তোমাকে জেনেরাল হিসাবে দেখতে চাই। সেই দুয়া করি। খুব আফসোসের সঙ্গে আলাউদ্দিন ভাই বললেনঃ খালাম্মা, আমরা যারা রক্ষী বাহিনী থেকে এসেছি। আমাদের মিলিটারি একাডেমির ডিগ্রী নেই। মেজরের পর আমাদের অবসর যেতেই হবে।
১৯৯১ সনে আলাউদ্দিন ভাইসহ সকল রক্ষী বাহিনীর অফিসার অবসরে চলে যায়। মেজর মাসুদ আর মেজর তারেক ব্যাতিত। কারণ উনাদের খুটির জড় অনেক বেশী। ১৯৯১ সনে খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী। আর উনার বিয়াই মেজর মাসুদ। খালেদা জিয়ার ছোট সাঈফ এসকান্দারের বৌয়ের বড় ভাই মেজর মাসুদ।
মেজর তারেক হাসিনার বিয়াই অর্থাৎ রেহানার দেবর। খেলা এখানে শুরু। খালেদা জিয়া সেনা বাহিনীর আইন ভঙ্গ করে উনার বিয়া মাসুদকে লেঃ কর্নেল পদে পদউন্নতি করলেন। লেঃ কর্নেল মাসুদের সুপারিশে খালেদা জিয়া তারেক সিদ্দিকীকেও লেঃ কর্নেল বানিয়ে দেন। ১৯৯৬ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেন। তৎকালীন হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা ছিলো বিঃজেঃ সাফায়েত জামিল (সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের দিতীয় ছেলে আর সৈয়স আশরাফের ছোট ভাই)। হাসিনা, তারেক সিদ্দিকীকে এক বছরে তিনটি প্রোমোশন দিয়ে মেজর জেনেরেল করেন। অবসরে দিয়ে হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা হন। হাসিনার বিয়াই বলে কথা।
২০০১ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই তিনি উনার বিয়াইকে প্রোমোশন দিয়ে মেজর জেনেরাল বানিয়ে দেন। হিন্দি ছবির একটি ডায়ালগ মনে হলো "হাম কিছিছে কাম নাহি"। হাসিনা বিয়াইকে জেনেরাল বানাইতে পারলে আমি কেনও পারবো না। মেজর জেনারেল মাসুদকে পারলে খালেদা জিয়া সেন প্রধান বানিয়ে দেয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্য বেচারার মিলিটারী একাডেমির ডিগ্রী নেই। এই মেজর জেনেরাল মাসুদ ছিলো ১/১১ মাষ্টার মাইন্ড বলেন বা খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার থেকে শুরু করে তারেক রহমানের উপর শারীরিক অত্যাচার করে। ২০০৮ সনে হাসিনা ক্ষমতায় এসেই মেজর জেনারেল মাসুদের উপর কৃতজ্ঞতাসরূপ উনাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদউন্নতি দিয়ে আস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের হাই কমিশনার বানিয়ে দেয়। ২০১৪ সনে সংসদ সদস্য হন।
উনারা দুজন বিয়াদ্বয়কে নিয়ে খেলা খেলেছিলেন। আর আমরা নিরীহ জনগন আঙ্গুল চুষছিলাম। শহীদ জিয়া ছাড়া সকল নির্বাচিত সরকার আমাদের ধোঁকা দিয়ে এসেছে।"