প্রবাসীদের প্রিয় ১০ দেশের অর্ধেকই এশিয়ায়

প্রবাসী
  © ফাইল ছবি

সাশ্রয়ী জীবনযাপন, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি ও উন্নত ক্যারিয়ার সুযোগের কারণে এশিয়ার দেশগুলো প্রবাসীদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপ্যাট ইনসাইডার সার্ভে’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা ১০টি প্রবাসী গন্তব্যের মধ্যে পাঁচটিই এশিয়ায়— থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া।

২০২৫ সালের প্রবাসীদের জন্য সেরা দশ দেশের তালিকায় রয়েছে— পানামা, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইন্দোনেশিয়া, স্পেন ও মালয়েশিয়া।

প্রবাসীরা সুখের প্রধান কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যকে উল্লেখ করেছেন, যেখানে এশিয়ার দেশগুলো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। চীন গত বছর ১৯তম স্থান থেকে এবার ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে, যার পেছনে ভারসাম্যপূর্ণ কর্মজীবন, ভালো বেতন এবং চাকরির সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে, আর ভিয়েতনামের অবস্থান পঞ্চম। চীনের সাংহাই ও শেনঝেন শহরগুলো প্রবাসীদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। ডাচ প্রবাসী ক্রিস ওবারম্যান বলেন, “সাংহাইয়ে প্রবাসীদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। দ্রুতগতির গণপরিবহন এবং অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা জীবনকে আরও সহজ করেছে। চীনা ভাষা জানলে সুবিধা আরও বেড়ে যায়।”

মালয়েশিয়া ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধা, আবাসন এবং ভাষার কারণে উচ্চ স্কোর পেয়েছে। ইংরেজি সহজে বলার যোগ্যতা নতুনদের জন্য এটিকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করেছে। অস্ট্রেলীয় প্রবাসী ক্রিস্টিন রেনল্ডস জানিয়েছেন, “মালয়েশিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় কম হওয়ায় আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহণের মান উন্নত।”

প্রবাসীদের জন্য সেরা পাঁচের মধ্যে থাকা ভিয়েতনাম ব্যক্তিগত আর্থিক সূচকে শীর্ষে রয়েছে। সাশ্রয়ী জীবনযাত্রার খরচ এখানে জীবনকে আরও সুখময় করেছে। মার্কিন প্রবাসী নর্ম্যান বৌর বলেন, “সমুদ্র থেকে মাত্র তিনটি ব্লক দূরে মাসিক মাত্র ৩৬০ ডলারে একটি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়া যায়। স্থানীয়দের সঙ্গে সহজেই কমিউনিটি গড়ে তোলা যায়।” তবে ভিসা সম্প্রসারণের মতো কাগজপত্রের কাজ ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। এছাড়া ভিয়েতনামের কফি সংস্কৃতি ও জীবনের ছন্দও প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।


মন্তব্য