মুরাদনগরের ঘটনায় কাকে ইংগিত করলেন মির্জা ফখরুল?

মুরাদনগরের ঘটনায় কাকে ইংগিত করলেন মির্জা ফখরুল?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষন হওয়ার ঘটনায় সরকারের এক উপদেষ্টার স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের ইংগিত দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি মুরাদনগর উপজেলায় হিন্দুধর্মাবলম্বী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। বিএনপির এ শীর্ষ নেতার এমন বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে কে সেই উপদেষ্টা?

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হিন্দুধর্মাবলম্বী এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন এক নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য ঘটনা। এমন বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই কাপুরুষোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।’

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওই (মুরাদনগর) এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পেয়ে সমাজবিরোধী নানা অপকর্মে মেতে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তারা দেশ-বিদেশ থেকে অবিরাম মদদ পাচ্ছে। উপদেষ্টা যদি জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাতেই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে। মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী এমপিদের মতো এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত রয়েছেন।’

নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, মুরাদনগরে হিন্দুধর্মাবলম্বী নারীর শ্লীলতাহানি ও সহিংসতা মনুষ্যত্বহীন, অমানবিক, পাশবিক ও মহলবিশেষের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের অভিসন্ধি। আবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আওয়ামী নোংরা কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বিনষ্ট করা হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থবিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের ঘটনায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। শক্তিশালী পক্ষের আশীর্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলি চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে।

নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে হিন্দুধর্মাবলম্বী প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনকারী দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তিনি।


মন্তব্য