কালবেলা ও কালের কণ্ঠের ওপর ক্ষেপলেন সারজিস

কালবেলা
  © সংগৃহীত

গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপকে হুমকি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লা। এবার কালের কণ্ঠ ও কালবেলার উপর ক্ষেপলেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ সংগঠক সারজিস আলম।

আজ সোমবার (০৭ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কালবেলার এক ফটোকার্ড শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই দুই পত্রিকার উপর ক্ষোভ ছাড়েন তিনি।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, “কালবেলা, কালের কন্ঠ কিংবা অন্য যে কোন মিডিয়া হাউজ, সাংবাদিকতার নামে আপনারা এই ভন্ডামি বন্ধ করেন।”

তিনি বলেন, “ছবি দেখে মনে হচ্ছে সারজিস কোথাও থেকে অবৈধ টাকা অর্জন করেছে। এরপরে বন্ধুর বাসায় রেখেছে। সেই বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে! অথচ নিউজ হলে হওয়া উচিত ছিল- সারজিসের বন্ধুর বাসা থেকে তিন বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা/গুজব “

চোরকে বন্ধু বানানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “কোথাকার কোন চোর, কিসের টাকা চুরি, যেসব সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা নাই তাদের সাথে প্রথমে বন্ধুর ট্যাগ দেয়া, এরপরে ছবি এড করে দিয়ে সাংবাদিকতার নামে যে ছ্যাচরামি আপনারা করছেন এগুলো সাংবাদিকতার ন্যূনতম এথিক্সের পর্যায়ে পড়ে না।”

এনসিপির এই নেতা বলেন, “কমেন্টে থাকা আপনাদের নিউজের লিংক ১০%  মানুষও পড়েনা। বাকি মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিংবা আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আপনাদের এই নোংরামিগুলোই যথেষ্ট।”

তিনি আরও লেখেন, নাহলে আগামীতে আমাদেরও লেখা শুরু করতে হবে-
"শেখ হাসিনার  স্বৈরাচারী আমলে হাজারের অধিক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ শর্মার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে যা জানা গেল..."
কিংবা "সারাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপের হাজার কোটি টাকার অবৈধ জমি দখল, খুন এবং ধর্ষণ সম্পর্কে যা জানা গেল..."

সবশেষ সারজিস লেখেন, “সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সাংবাদিকতা করুন। নাহয় কতিপয় তথাকথিত সাংবাদিকের জন্য এই সম্মানের পেশায় থাকা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, পেশাদার, আপোসহীন সাংবাদিকদেরকে আগামীতে সম্মানহানীর মুখে পড়তে হবে।”


মন্তব্য