ড. ইউনূসকে নিয়ে একি বললেন মেজর হাফিজ!
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৭ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৭ PM

মাত্র এক বছরের মাথাতেই অর্ন্তবতী সরকারের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এতদিন পরোক্ষভাবে বললেও এবার প্রকাশ্যেই তার বিরোধিতায় নেমেছেন কেউ কেউ। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দও সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।
আজ শনিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। এমনকি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কখনো একটি কথা বলেননি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) ঢাকা কেন্দ্রের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতিতে শহীদ পরিবারের প্রতি সম্মাননায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন যারা উপদেষ্টা রয়েছেন, তাদের কেউ গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার অত্যাচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। একমাত্র (আইন উপদেষ্টা) আসিফ নজরুল মাঝে মাঝে দু-চারটি কথা বলেছেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, দেশবরেণ্য ব্যক্তি, আমরা সকলে তাকে শ্রদ্ধা করি, তিনি হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একটি কথাও কখনো বলেন নাই। জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়ার প্রধান কারণ অভ্যুত্থানের পর যে সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, তারা শহীদদের চেতনাকে ধারণ করে না। দুর্ভাগ্য আমাদের, এই দেশ বীরদের ধারণ করতে পারে না।
মেজর হাফিজ বলেন, সব সময়ই বিপ্লবে যারা জীবন দেন, বিজয়ের পরে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না। বারবার জীবন দেয় সাধারণ মানুষ, আর এর ফলাফল ভোগ করে একশ্রেণির কুটিল রাজনীতিবিদেরা। কোত্থেকে তারা উড়ে এসে সকল কৃতিত্ব দাবি করে, জনগণকে নসিহত করা শুরু করে। তারা বারবার জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যেতে চায়।
গণ-আন্দোলনের পটভূমি বিএনপি নির্মাণ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটা শব্দ উচ্চারণ করেনি, তারা এখন পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত। তারাই এখন জাতিকে সবক দিচ্ছে।
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হবে নাকি আনুপাতিক হারে আসন বণ্টন হবে, তার জন্য কেউ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি। তারা চেয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটাই মাত্র পথ হলো নির্বাচন। এখন যারা ক্ষমতার মোহে পড়ে গেছেন, এখন শুধু ঘুরিয়ে প্যাচাচ্ছেন। সহজ পথ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
তিনি বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাধারণ জনগণ এলাকায় নেতা হিসেবে তাকে চান যাকে তারা চেনেন, সব সময় পাশে পাবেন। কিন্তু শুধু মার্কা দিয়ে তাকে কীভাবে চিনতে পারবেন। পিআর পদ্ধতিতে দেখা যাবে, ভোলায় যে সংসদ সদস্য হবে, তার বাড়ি কুড়িগ্রামে।
প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুস সোহবান, এ্যাবের সাবেক মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ, আইইবি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সদস্য প্রকৌশলী লোকমান প্রমুখ।