হঠাৎ কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাবর?

বাবর
  © সংগৃহীত

দেড় যুগেরও বেশি সময় জেলে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাড়া পান তিনি। এরপর তেমন মিডিয়ায় না আসলেও হঠাৎ আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। দেড় যুগ পর উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে তিনি সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাকে ‘স্যার স্যার’ বলে জড়িয়ে ধরেন। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে বের হন বাবর।

দুই ঘণ্টার বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তবে বাবরের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সহকারী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ প্রতিবেশী দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এসব বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

সূত্র জানায়, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সীমান্ত নিরাপত্তা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধ দমন-সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু মতবিনিময় হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন এবং ফিরলে তার নিরাপত্তা কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবর বলেন, ‘তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন।’ তারেক রহমান প্রসঙ্গে এর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি তিনি।

বিশ্বস্ত্র সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাবরের বৈঠকটি অনানুষ্ঠানিক হলেও তারেক রহমানের নিরাপদে দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা করতেই বাবর মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। সরকারের সঙ্গে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই অংশ হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বাবর আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বাবর বিষয়টি সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেছেন।

লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, ‘দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একজন ব্যবসায়ীর বৈঠককে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে, এটাসহ উদ্বেগজনক কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে সরকারের প্রচেষ্টার কমতি নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ আছে। তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে সচিবালয়ে গিয়েছি।’


মন্তব্য