জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্র
  © ফাইল ছবি

গত বছরের জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জামায়াতে ইসলামী। বিশেষ করে, বিএনপির পর দেশে দ্বিতীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে সংগঠনটি। বিভিন্ন জরিপের ফলাফল এবং ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে জামায়াতের সাফল্যের কারণে দলটিকে ঘিরে আগ্রহ ও কৌতূহল আরও বেড়েছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে, বাংলাদেশের একটি মার্কিন কূটনীতিক জামায়াতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ৫টি প্রধান আগ্রহের কারণ তুলে ধরেছেন।

মার্কিন কূটনীতিকের মতে, জামায়াতকে যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করার প্রধান কারণগুলো হলো:

১. শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা: জামায়াতের নেতারা উচ্চশিক্ষিত এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল।

২. মানবাধিকার ও নির্যাতনের ইতিহাস: মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানের কারণে জামায়াতকে বাংলাদেশের শাসক দলের হাতে নির্যাতিত ও মানবাধিকার বঞ্চিত মনে করা হয়।

৩. গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস: জামায়াত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে এবং তারা তালেবানের মতো পিছিয়ে পড়া নয়; বরং প্রগতিশীল ইসলামিক দল।

৪. বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠী: যেখানে দেশের ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম, সেখানে জামায়াতের সরকার গঠন হলে তাতে বড় কোনো ক্ষতি হবে না বলে মত প্রকাশ করেছেন কূটনীতিক।

৫. রাজনৈতিক ক্ষমতা ও জোটগঠন: জামায়াত এককভাবে সরকার গঠনের ক্ষমতা না থাকলেও, অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া করে একটি ইসলামি জোট গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

কূটনীতিক আরও জানান, গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার ক্ষমতা পতনের অরাজক পরিস্থিতিতে জামায়াত পূর্ণ উদ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে এবং সরকার গঠনের জন্য মাঠে নেমেছে।


মন্তব্য