বাংলাদেশি গবেষক আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে ‘কমেন্ডেড পেপার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন 

Award
বাংলাদেশি গবেষক আবদুল্লাহ আল নোমান।  © সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক গবেষণার অঙ্গনে আবারও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখলো জার্মানির ব্রেমেন শহরভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রেমার ইনস্টিটিউট ফর প্রোডাকশন অ্যান্ড লজিস্টিক বিবা (BIBA)। সম্প্রতি নরওয়ের ট্রন্ডহেইম শহরে অনুষ্ঠিত ১১তম আইএফএসি (IFAC) আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ম্যানুফ্যাকচারিং মডেলিং, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রোল (IFAC MIM ২০২৫)”-এ প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘কমেন্ডেড পেপার অ্যাওয়ার্ড’।

পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল “এক্সপ্লেইনিং ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যানোমালিজ: ট্রান্সফর্মার-ভিত্তিক ডিটেকশন উইথ এক্সএআই (xAI) ফর ইমব্যালান্সড প্রসেস ডেটা”। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশি গবেষক আবদুল্লাহ আল নোমান। তার সঙ্গে সহ-লেখক হিসেবে ছিলেন অ্যান্টন জিটনিকভ, ফিরোজ আহম্মেদ পাতওয়ারী, অ্যারন হেউরমান এবং ক্লাউস-ডিটার থোবেন।

গবেষণাটিতে আধুনিক শিল্প-কারখানায় জটিল ও অসমতাল ডেটার মধ্যে অস্বাভাবিকতা (অ্যানোমালি) শনাক্তকরণ এবং সেই অস্বাভাবিকতার কারণ ব্যাখ্যার উপযোগী একটি পদ্ধতি উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষক দল ট্রান্সফর্মার প্রযুক্তি-ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ব্যাখ্যাযোগ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (xAI) প্রযুক্তির সমন্বয়ে এমন একটি সমাধান তৈরি করেছেন, যা প্রক্রিয়াজাত সমস্যাগুলো শুধু শনাক্তই করে না, বরং সেগুলোর ব্যাখ্যাও দিতে সক্ষম। এর ফলে প্রকৌশলী ও কারখানার অপারেটররা দ্রুত এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ব্যতিক্রমী অংশগ্রহণ:
এবারের IFAC MIM সম্মেলনে ৫১টি দেশের ৭০০-এরও বেশি গবেষক ও পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে উপস্থাপিত হয় মোট ৫৭৪টি গবেষণাপত্র, যেগুলো ১১৯টি সেশনে ভাগ করা ছিল। পাশাপাশি ছিল পাঁচটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং একাধিক কর্মশালা।

বিবা এ সম্মেলনে মোট তিনটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছে। বাকি দুটি গবেষণাপত্রের শিরোনাম ছিল:
“এনহ্যান্সিং কন্ডিশন মনিটরিং: এ সেমি-অটোমেটিক ফ্রেমওয়ার্ক ইউজিং মেটা-লার্নিং ফর অ্যালগরিদম সিলেকশন”
“অ্যাসেম্বলি প্রসেস প্ল্যানিং-এর জন্য প্রসেস হিস্টোরিভিত্তিক নলেজ মডেলিং পদ্ধতি”।

গবেষণার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য:

এই অর্জন প্রসঙ্গে বিবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে:“ডেটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বুদ্ধিমান উৎপাদন ব্যবস্থার বিকাশে আমাদের গবেষণা চলমান থাকবে। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি আমাদের ভবিষ্যতের পথচলায় আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

উল্লেখ্য, বিবা জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি অগ্রণী গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা শিল্প ও উৎপাদন ব্যবস্থায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং সমাধান নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে।


মন্তব্য