রাজধানী ও চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ

ধর্ম সচিবের প্রত্যাহার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম ইফা’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

ইফা
  © বাংলাকণ্ঠ

ধর্ম সচিবের প্রত্যাহার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ারের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। 

এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ওবায়দুর রহমান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ম সচিব আফতাব হোসেন প্রামানিক ফ্যাসিবাদের দোসর। শেখ হাসিনার দালালি করার পুরস্কার স্বরূপ তিনি বিগত সরকারের আমলে গ্রেড-১ অর্থাৎ সচিব পদমর্যাদা পেয়েছিলেন। তিনি মন্ত্রণালয় থেকে বসে জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামপন্থী কর্মকর্তাদের একের পর এক ঢাকার বাইরে বদলি করছেন। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাদের ঢাকায় পুনর্বাসনের জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছেন। বক্তারা এ সময় ধর্ম সচিব আফতাব হোসেন প্রামানিক কে অপসারণ এবং পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ারের বদলির আদেশ বাতিলসহ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে সকল বদলি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান। 

সমাবেশে নেতারা দাবি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়ে বলেন, অন্যথায় দেশব্যাপী আলেম-ওলামাদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে গতকাল চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদেও একই দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকদের ক্ষোভ: 
ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কৌশলে স্থবির করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির পরিচালকরা। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান কার্যালয়ের সকল পরিচালক সমন্বয় বিভাগের পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিনের নেতৃত্বে ইফার মহাপরিচালক আব্দুস সালাম খানের সাথে দেখা করে তাদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা ব্যক্ত করেন।

এ সময় পরিচালকরা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইঙ্গিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দক্ষ কর্মকর্তাদের বাইরে বদলি করে দেয়া হচ্ছে। বিগত ১৫ বছর ধরে হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার সিনিয়র পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ারকে কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ ঢাকার বাইরে বদলি করে দেয়া হয়েছে। পদোন্নতির জন্য আইন অনুযায়ী সিলেকশন কমিটি গঠন না করে ধর্ম সচিব মনগড়া একটি আমলাতান্ত্রিক সিলেকশন কমিটি গঠন করে দেন। ফলে বিগত ১০ মাসে একজন কর্মকর্তারও কোন পদোন্নতি হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং সেক্রেটারি কে প্রধান কার্যালয়ে পুনর্বাসনের জন্য মন্ত্রণালয়ের একশ্রেণীর কর্মকর্তা নির্লজ্জের মত কথা বলছে এবং কাজ করছে। বিগত দিনগুলোতে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের কোনো কারণ ছাড়াই বদলি এবং হয়রানি করা হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে।


মন্তব্য