স্টারলিংক সেবা শুরু: কীভাবে পাবেন এবং কত খরচ?
- বিশেষ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১০:৩৩ AM , আপডেট: ২১ মে ২০২৫, ১০:৩৯ AM

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ এখন থেকে বাংলাদেশের বাজারেও পাওয়া যাবে। সেবাটি পেতে হলে সরাসরি স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার করতে হবে।
ওয়েবসাইটে ঢুকলে ‘রেসিডেনশিয়াল’ এবং ‘রোম’ নামের দুটি অপশন দেখা যাবে। ‘রেসিডেনশিয়াল’ অপশনের ‘অর্ডার নাউ’ বাটনে ক্লিক করে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে। তবে এখনো বাংলাদেশ সরকার ‘রোম’ বা ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন দেয়নি।
এরপর ‘চেকআউট’ অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করে ‘প্লেস অর্ডার’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অর্ডার করার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো সেটআপ গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেরা সেটটি ইনস্টল করতে পারবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে স্টারলিংক তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়। স্টারলিংকও একই দিন সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্ট দিয়ে তা নিশ্চিত করে।
প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, স্টারলিংকের সেটআপ কিটের এককালীন মূল্য ৪৭ হাজার টাকা। বর্তমানে দুটি প্যাকেজ চালু হয়েছে—
-
স্টারলিংক রেসিডেন্স: মাসিক খরচ ৬,০০০ টাকা
-
রেসিডেন্স লাইট: মাসিক খরচ ৪,২০০ টাকা
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, একটি ডিভাইস থেকে সাধারণভাবে ২০ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট কাভারেজ পাওয়া যাবে। গ্রামাঞ্চলে এই পরিসর ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। একজন গ্রাহক এককভাবে বা সমবায় ভিত্তিতে একাধিক ব্যবহারকারী মিলে সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন।
উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধার জন্য স্টারলিংক বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। এটি বিশেষভাবে কার্যকর দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে প্রচলিত ইন্টারনেট পৌঁছায় না। স্টারলিংকে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতিতে আনলিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় স্টারলিংক ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্ক, যিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি দক্ষতা বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।