বাঁশখালীর পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রনেতা আশিকের গণসংযোগ

চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটকে ধারণ করে আগামী দিনের রাজনীতির করনীয় নির্ধারনে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাঁচাই করে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মফিজুর রহমান আশিক।

তিনি বলেছেন, গণ-আকাঙ্খাকার আলোকে গণমুখী নেতৃত্ব নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি প্রেমবাজারে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

বাঁশখালীর উন্নয়ন, ঐক্য ও সামাজিক পুনর্জাগরণের অঙ্গীকার নিয়ে দেওয়া  বক্তব্যে মফিজুর রহমান আশিক বলেন, “চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের এক পরিবারতান্ত্রিক স্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা এক স্বৈরতান্ত্রিক পরিবারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। আমি জুলাই আন্দোলনের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বাঁশখালীতে একটি পরিবারকে প্রশ্ন করতে ও চ্যালেঞ্জ জানাতে এসেছি। কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ না নিয়ে, শুধু বাপ-দাদার নাম ভাঙিয়ে বিএনপির মনোনয়ন কেউ পেতে পারে না। আওয়ামী লীগের সেই চেয়ারম্যান-এমপিরা, যারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার ফাঁসি দাবি করেছে এবং কটূক্তি করেছে—তাদের যেসব বিএনপি নেতা সেফ এক্সিট দিয়েছে কিংবা মামলার আসামি হতে দেয়নি, তারা কোনোভাবেই বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য নয়।”

এর আগে তাঁর নেতৃত্বে নাপোড়া বাজার থেকে একটি বিশাল মিছিল শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেমবাজারে গিয়ে শেষ হয়।

বক্তৃতায় আশিক বলেন, “আমি বাঁশখালী নিয়ে স্বপ্ন দেখি—আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার প্রিয় বাঁশখালী ঐক্যবদ্ধ হবে।”

তাঁর সেই স্বপ্নের সঙ্গে খুঁজে পাওয়া যায় 

তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ঐতিহাসিক সেই “I Have a Dream” ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বৱেন, “আমিও স্বপ্ন দেখি, একদিন বাঁশখালীর প্রতিটি শিশু শিক্ষা লাভ করবে; প্রতিটি পরিবার মর্যাদার সঙ্গে বাঁচবে; প্রতিটি নাগরিক স্বাস্থ্যসেবায় সমান সুযোগ পাবে; এবং সকল মানুষ ন্যায়, শান্তি ও সমৃদ্ধির আলোয় জীবন যাপন করবে। পাহাড় থেকে উপকূল পর্যন্ত মানুষ একসঙ্গে কাজ করবে শান্তি, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও অগ্রগতির জন্য। এমন স্বপ্নের বাঁশখালীই হবে উন্নয়নের মডেল।”

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমি বাঁশখালীর পশ্চিম, পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করব। অবিচার, নিপীড়ন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাব। জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ ও অধিকার রক্ষায় আমি সর্বদা পাশে থাকব।

আশিক তার বক্তব্যে বলেন, “আপনারা যদি আমার ওপর আস্থা রাখেন, আমি আপনাদের কখনো পরিত্যাগ করব না। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার প্রিয় বাঁশখালী হবে আশার, ন্যায়ের ও মানবতার আলোকবর্তিকা।”