১১০ রানেই প্যাকড পাকিস্তান

১১০ রানেই প্যাকড পাকিস্তান
  © সংগৃহীত

রোববারের সন্ধ্যাটা যেন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশী বোলারদের জন্য আর্শিবাদ হয়েই দেখা দিয়েছে। এদিন বল হাতে পাকিস্তানকে রীতিমত নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে বাংলার দামালরা। টাইগার বোলারদের তোপে ১১০ রানেই অলআউট হয়ে পাকিস্তান যেন টাইগারদেরকে সমীহ করেছে।

ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়েছে দুই দলের লড়াই। ম্যান ইন গ্রিনদের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগারদের অধিনায়ক লিটন দাস। আর বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ-মেহেদই হাসানরা। স্বাগতিক বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই সফরকারীরা করতে পেরেছে কেবল রান।

ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট হতে পারতেন পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান। মেহেদী হাসানকে দ্বিতীয় বলে চার মারা পাকিস্তানি ওপেনার চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন। তব সহজ ক্যাচ মুঠোবন্দী করতে পারেননি তাসকিন। 

তবে প্রথম ওভারেই ক্যাচ মিস করা তাসকিন দ্বিতীয় ওভারেই নিজের করা প্রথম ওভারেই তাসকিন আউট করেন সাইম আইয়্যুবকে। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন পাকিস্তানি এ ওপেনার।

এদিকে সাইম আউট হওয়ার পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় মোহাম্মদ হারিসকে। মেহেদী হাসানের করা পরের ওভারেই শামিম হোসেনের মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন হারিস। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় ম্যান ইন গ্রিনরা। 

পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সালমান আঘা। এরপরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দী হয়ে আউট হন হাসান নওয়াজ। 

নওয়াজ ফেরার পর আর খুব বেশি সময় ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি ফখর। দুইবার জীবন পাওয়া এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত আউট হন রান আউট হয়ে। এর আগে তিনি করেন ৪৪ রান। দ্রুত উইকেট হারিয়ে একশর আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। তবে শেষদিকে আব্বাস আফ্রিদির ২২ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত অল আউট হওয়ার আগে ১১০ রানের দেখা পায় পাকিস্তান। 


মন্তব্য