পলিশের সেই পাষন্ড এএসআই গ্রেপ্তার

পুলিশ
  © সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পতিত সরকারের পেটুয়া বাহিনীর গুলি করে ছাত্র জনতাকে হত্যার যেসব চিত্র দেখলে এখনো গা শিউরে ওঠে তার একটি ছিল গত বছরের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনকে টেনে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিতের ঘটনা। এমন ঘটনায় তখন শুধু বাংলাদেশ নয়, ইন্টারনেটের কল্যাণে তাবৎ দুনিয়ার মানুষকে কাঁদিয়েছিল। আর সেই ঘটনায় মৃত্যু নিশ্চিত করা পুলিশের পাষন্ড এএসআই  মোহাম্মদ আলীকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলন যথন তুঙ্গে তখন ওখানে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে টেনে-হেঁচড়ে নিচে ফেলে শিক্ষার্থী আস-হাবুল ইয়ামিনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল।

রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ শাহীনুর কবির গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এএসআই মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। আজ সকাল ৬টার দিকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন মুরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী শাইখ আশহাবুল ইয়ামিনকে সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার পর তার মৃত্য নিশ্চিত করে তখন দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। আশহাবুলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তখন ভাইরাল হয়। ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-এর কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এমআইএসটির ওসমানী হলে থাকতেন এবং বাসা ছিল সাভারের ব্যাংক টাউন আবাসিক এলাকায়।


মন্তব্য