ভারতের বিকল্প বাংলাদেশেই! রপ্তানিতে বিমানবন্দরে নতুন পরিকল্পনা

শাহজালাল
  © ফাইল ছবি

ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি সুবিধা পেত বাংলাদেশ। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর এই সুবিধা বাতিল করে ভারত। তবে বাংলাদেশেই এর বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়। সরকারও স্বপ্রণোদিত হয়ে বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলে। এরই অংশ হিসেবে এবার কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কোল্ড স্টোরেজ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কার্গো ফ্লাইটে ওজন সীমা (ওভারলোড) পেরিয়ে গেলে অতিরিক্ত কৃষিপণ্য নতুন টার্মিনালের কোল্ড স্টোরেজে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হবে।

রবিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও সেখানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) হিমাগার পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এখান থেকে শাক-সবজি, ফলমূল প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখার জন্যই কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ফলমূল ও শাক-সবজি রপ্তানি করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেকেই কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। যেহেতু দেশের রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে, সেহেতু এখানকার কোল্ড স্টোরেজ আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় সুখবর হচ্ছে, নতুন এক্সপোর্ট টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। সেখানে যদি কোনো মালামাল/পণ্য স্ক্যানিং হওয়ার পরও বিমানে যেতে না পারে, সঙ্গে সঙ্গেই সেসব পণ্য কোল্ড স্টোরেজে রাখা যাবে।’

তিনি জানান, বর্তমানে যদি বিমানে ওভারলোড হয়, তাহলে যেসব পণ্য রেখে দিতে হয়, সেসব পণ্য রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজ নেই। কিন্তু নতুন টার্মিনালে এই সুযোগটা থাকছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু একটা-দুইটা পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না। কীভাবে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’


মন্তব্য