শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ

শেয়ারবাজার
  © ফাইল ছবি

দেশের শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বড় ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বহুজাতিক মিলিয়ে ১৫টি সম্ভাব্য কোম্পানি চিহ্নিত করেছে সরকার, যেগুলোতে সরকারি অংশীদারিত্ব রয়েছে। কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তালিকাভুক্তির জন্য নির্ধারিত কোম্পানিগুলো হলো: কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার, সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসি (সাবেক সানোফি বাংলাদেশ), নোভাটিস বাংলাদেশ, সিঞ্জেন্টা বাংলাদেশ, নেস্টলে বাংলাদেশ, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন, বি-আর পাওয়ারজেন, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন, কর্ণফুলী গ্যাস, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং জীবন বীমা কর্পোরেশন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ উদ্যোগ সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, সরকার এসব কোম্পানিতে তাদের হোল্ডিংয়ের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের সুযোগ পাবে এবং একইসঙ্গে শেয়ারবাজারেও একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এদিকে শেয়ারবাজারে নতুন করে আলোচনায় এসেছে গ্রামীণফোন ও রবি। বিএসইসির বিবৃতিতে বলা হয়, যেহেতু এসব কোম্পানির পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে এবং নতুন করে মূলধনের প্রয়োজন নেই, তাই তারা সরাসরি তালিকাভুক্তির (Direct Listing) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসবে। এ প্রক্রিয়ায় নতুন শেয়ার ইস্যু না করে বিদ্যমান শেয়ারগুলোই বাজারে বিক্রি করা হবে।

কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আনার পরিকল্পনার বাস্তবায়নে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হয় গত মে মাসে প্রধান উপদেষ্টার এক নির্দেশনার আলোকে।


মন্তব্য