রপ্তানিতে কেন ক্ষতির শঙ্কা দেখছেন ব্যবসায়ীরা?

এলডিসি
  © ফাইল ছবি

দীর্ঘদিন ধরেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে আসছে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তোরণের কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এই মুহূর্তে এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত নন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, এ মুহূর্তে এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে রপ্তানিসহ নানা খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এলডিসি উত্তরণ পেছানো বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন না অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, নির্বাচিত সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করলে নির্ধারিত সময়েই উত্তরণ সম্ভব।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। যেখানে রপ্তানি খাতে প্রণোদনার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে পুরোপুরি বের হওয়ার পর এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন চৌধুরী বলছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক বাড়বে ১২ শতাংশ। আর বিভিন্ন বাণিজ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে রপ্তানি কমবে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ। তাই এলডিসি থেকে বের হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার রোডম্যাপ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েক বছর সময় পাওয়ার পরও প্রস্তুত নয়, এ কারণ দেখিয়ে সময় পেছানো যাবে না। তাই নির্ধারিত সময়ে এলডিসি উত্তরণের পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে পর্যালোচনা করছে সরকার।


মন্তব্য