শেয়ারবাজারে বড় ধস!
- বাংলাকন্ঠ রিপোর্ট:
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৬ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৬ PM

দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতনে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র অস্থিরতা, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চরম হতাশা। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে বাজার, ফলে সূচক ও বাজার মূলধন—উভয় ক্ষেত্রেই নেমেছে বড় ধস।
তথ্য অনুযায়ী, গত আট কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স মোট ২৭৯ পয়েন্ট হারিয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে সূচক কমেছিল ১৬৪ পয়েন্ট, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৩ পয়েন্ট করে পতন। কিন্তু পরিস্থিতি আজ আরও খারাপ হয়েছে—রোববার (১৯ অক্টোবর) একদিনেই সূচক কমেছে ৭৫ পয়েন্ট, আর বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে ১ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।
এই ধারাবাহিক দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচক নেমে এসেছে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। একইসঙ্গে লেনদেনও নেমে গেছে সেই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। ৮ কর্মদিবসে ডিএসইর মূলধন খোঁয়া গেছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৫.০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫,০৪৪.৩৩ পয়েন্টে, যা গত ৯ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ২৩.৯৬ পয়েন্ট কমে ১,০৬২.৩৩ পয়েন্টে, এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৯.৭৩ পয়েন্ট কমে ১,৯৩৮.১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে
আজ মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪৪টির দর বেড়েছে, ৩১৪টির কমেছে এবং ৩৮টি অপরিবর্তিত রয়েছে।
লেনদেনের পরিমাণও আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। আজ ৪৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে—যা গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সর্বশেষ ২৫ জুন এতো কম লেনদেন হয়েছিল (৪১৩ কোটি ২১ লাখ টাকা)। আগের কার্যদিবসের তুলনায় আজ লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ১ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ছিল একই চিত্র। সেখানে আজ ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিনের ৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার চেয়ে সামান্য বেশি।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ১৩৪টির কমেছে, এবং ১৩টি অপরিবর্তিত ছিল।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক (সিএএসপিআই) ১৯৪.৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৭৩.৮৫ পয়েন্টে, যা আগেরদিনের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি পতন।
অবিরাম দরপতন ও কম লেনদেনের এই ধারা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর দ্রুত হস্তক্ষেপ জরুরি।