অভিনেত্রী থেকে উদ্যোক্তা সালমানের কথিত প্রেমিকা
- বিনোদন ডেস্ক:
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০০ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০০ PM

বলিউড ভাইজান সালমান খানের সঙ্গে একাধিক মেয়ের নাম জাড়িয়েছে। তার প্রকৃত থেকে শুরু করে কথিত অনেক প্রেমিকা রয়েছেন। সেই তালিকায় থাকা অভিনেত্রী এখন উদ্যোক্তা বনে গেছেন। ২০১০ সালে সালমান খানের হাত ধরে ‘বীর’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন জেরিন খান। প্রথম সিনেমা দিয়ে জি-সিনে অ্যাওয়ার্ডের সেরা নবাগতার পুরস্কারও বাগিয়ে নিয়েছেন।
মূলত, সালমানের ‘যুবরাজ’ সিনেমার সেটে কারও সঙ্গে গিয়েছিলেন জেরিন। সেখানে গিয়ে পরিচয় সালমানের সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই মেয়েটির গুণের প্রেমে পড়ে যান সালমান। তখনই সিদ্ধান্ত নেন, তার পরবর্তী সিনেমার নায়িকা হবেন জেরিন।
কথামতো কাজ। ‘বীর’ সিনেমা দিয়ে আত্মপ্রকাশ হলো বলিউডে। এরপর সালমানের সঙ্গেই ‘রেডি’ সিনেমায় দেখা গেছে। কাজ করেছেন ‘হাউজফুল-২’,‘ হেইট স্টোরি-৩’র মতো সিনেমায়ও। দেখা গেছে বলিউডসহ তামিল একাধিক সিনেমায়।
একটা সময় জেরিনকে সালমান খানের প্রেমিকাও বলা হতো। কিন্তু কেন জানি দারুণ সব সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বলিউডে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি জেরিন। বড় পর্দায় তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২১ সালে, ‘হাম ভি একেলে, তুম ভি একেলে’ সিনেমায়।
মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করতেন জেরিন। সর্বশেষ ২০২২ সালে জাভেদ আলী ও রাগঘের ‘ঈদ হো যায়েগি’ গানের ভিডিওতে নেচেছেন। এরপর পর্দার আড়ালে তো বটে, খবরেও ছিলেন না এ অভিনেত্রী।
সম্প্রতি খবরে এসেছেন জেরিনের। তবে অভিনয় নিয়ে নয়, উদ্যোক্তা পরিচয়ে। জীবনকে নতুনভাবে শুরু করেছেন তিনি। চালু করেছেন ওয়েলনেস ব্র্যান্ড ‘হ্যাপি হিপ্পি’। এ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে তিনি আত্ম-যত্ন, ইতিবাচকতা এবং সচেতন জীবনযাপনের ওপর জোর দিয়েছেন। জেরিন এখন তার ব্যক্তিগত মূল্যবোধ এবং দর্শনকে এমন একটি ব্যবসায়ে নিয়ে আসছেন যা মানুষকে চাপ বা বাধ্যবাধকতা ছাড়াই আত্ম-প্রেম গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
অভিনেত্রী একটি ইনস্টাগ্রাম রিলের মাধ্যমে ‘হ্যাপি হিপ্পি’ চালু করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘এমন কিছু যা আপনার যত্ন নেয়, এমনকি যখন আপনি না করেন! আমরা সেটা করে দেখাব।’
ভক্তদের তিনি তার নতুন উদ্যোগের অফারগুলো দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার এ ব্যবসায়িক পণ্যগুলো মানুষের আরাম, সুস্থতা এবং স্টাইল, সবকিছু ভেবে তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জেরিন ব্যক্তিগতভাবেও বিশ্বাস করেন, মানসিক সুস্থতা, শারীরিক ইতিবাচকতা এবং লয়েল থাকাই একজন মানুষের পরম আরাধ্য। আর সেটা নিয়ে ব্যক্তিজীবনেও অনুসরণ করেন। ক্যারিয়ারজুড়ে অন্যদের এ সবের প্রতি উপদেশ দিয়েছেন। তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু অর্থ রোজগারই নয়, এ উদ্যোগের লক্ষ্য গ্রাহকদের ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যেও থেমে, শ্বাস নিতে এবং নিজেদের অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা, সুখ এবং ব্যক্তিত্ব উদযাপন করে এমন একটি আন্দোলন তৈরি করা।
অভিনেত্রীর বিশ্বাস, এ পদক্ষেপ অভিনয়ের বাইরেও তার ক্যারিয়ার সম্প্রসারণ করবে, যা তাকে সচেতন জীবনযাপন এবং সামগ্রিক সুস্থতার একজন প্রবক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।