‘৭১ ডিল’ নিয়ে বিষ্ফোরক শাওন
- বিনোদন ডেস্ক:
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৯ PM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৯ PM

সম্প্রতি ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের বৈঠক ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড একাউন্টে শাওন একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশ্ন তোলেন, “মুক্তিযুদ্ধের নাম কি তবে ‘৭১ ডিল’ হয়ে গেল?”
তিনি আরও লেখেন,“এই ‘ঘিলু’ মহোদয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন কবে? ফরেন পলিসি নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করছেন! তার মতে, গত ১৫/২০ বছর অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান তাদের ভালো ভালো জিনিস আমাদের শেখাতে পারেনি! যাক, এখন ‘বিল্ডিং রিলেশনশিপ’-এর পর বাংলাদেশ সব শিখে নেবে।”
ভিডিওতে একজন এনসিপি নেতা '৭১ ডিল' শব্দ ব্যবহার করেন। এটা নিয়ে শাওন লেখেন, “৪৪ সেকেন্ড পার করে দেখলাম, ‘৭১ ডিলের একটা ইস্যু’ও নাকি আছে, যেটা তাদের মতে দ্রুত ‘সলভ’ করা উচিত। মুক্তিযুদ্ধের নাম কি তবে ‘৭১ ডিল’ হয়ে গেল!”
শাওনের এই পোস্ট ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। অনেক অনুরাগী মন্তব্য করে তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। কেউ প্রশ্ন করেছেন,“কেন পাকিস্তান? আপনাদের এই দায়িত্ব কে দিয়েছে?” আবার কেউ লিখেছেন, “পাকিস্তান চাই না, পাকিস্তানের কোনো ডিলও চাই না।”
অর্ণপূর্ণা দেবী নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “একাত্তর ইস্যু দ্রুত সলভ করলে তো সব সমইস্যার সমাধান হয়ে গেলো। আবার দুই দেশ এক হয়ে পাকিস্থান হয়ে গেলো। এই মেধাবীরা আছে বলেই এতো সুন্দর আর সহজ সমাধানটা আমরা এতো দ্রুত পেতে যাচ্ছি, সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।”
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এনসিপি জানায়, পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তারা অংশ নিয়েছেন এবং বাংলাদেশের জনগণের ভাবনা তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে এনসিপির নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে এবং এর জন্য ১৯৭১ সালের ইস্যু দ্রুত সমাধান করা উচিত।”
এই বক্তব্যে তিনি ‘৭১ ডিল’ শব্দটি ব্যবহার করেন, যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে।