বিনা গোসল ও দুর্ঘটনায় মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে ৯৪ বছর পার!
- আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৫ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৫ PM

বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে কত বিচিত্র্য প্রাণীর বসবাস তা আমরা কতটুকুই বা জানি? কত বিচিত্র ঘটনাই না ঘটে, তার কতটুকুই বা দেখি? তবে জ্ঞান ও বুদ্ধির বিবেচনায় মানুষ যে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব- একথা সকলেই জানি। কিন্তু সেই মানুষই যে সবচেয়ে বড় বৈচিত্র্যময় প্রাণী সেটা তো বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠীর মানুষের আচরণ না দেখলে বুঝা মুশকিল।
এই যেমন আমু হাজি নামের এক ব্যাক্তির অদ্ভুত জীবনারণ সর্ম্পকে পড়লে আপনি জেনে হয়তো আশ্চর্য হবেন যে মানুষ কেমনে এমন হয়?
৬০ বছরের মধ্য জীবনে একদিনও গোসল করেননি আমু হাজি নামে এক লোক। আমু হাজি ইরানের এক সন্ন্যাসী গোছের মানুষ ছিলেন। আমু হাজি বিশ্বাস করতেন, গোসল করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই তিনি গোটা জীবনের ৬ দশক গোসল না করেই ছিলেন। তার গোসল না করার ঘটনা ২০১৪ সালে প্রথম জানাজানি হয়। এরপর তাকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা মানুষের’ তকমা দেওয়া হয়েছিল।
শুধু কি গোসল? আমু হাজির খাদ্যাভাসও ছিল অদ্ভুত।
২০১৪ সালে ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, আমু হাজি সাধারণত তার গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কে দুর্ঘটনায় যেসব প্রাণী মারা যেত সেগুলোর মাংস থেকেই জীবন ধারণ করতেন। পশুপাখির মল দিয়ে তৈরি এক ধরনের পাইপ সেবন করতেন তিনি।
আমু হাজি বিশ্বাস করতেন, গোসল করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। সে সময় তোলা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, আমু হাজি একই সময়ে একাধিক সিগারেট/পাইপ খেতেন। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমু হাজি নামে ওই ব্যক্তি ইরানের ফার্স প্রদেশের দেজগাহ নামক একটি গ্রামে বাস করতেন। সেখানে ধুলো-কালি লিপ্ত আমু হাজি কয়লা দিয়ে তৈরি একটি খুপরি ঘরে থাকতেন।
তার (আমু হাজির) প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তরুণ বয়সে কিছু একটা নিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন। যৌবনের সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার কারণে ৬০ বছরেরও বেশি সময় আগে গোসল করা বন্ধ করে দেন আমু হাজি।
পরে ২০২২ সালে গ্রামবাসী আমু হাজিকে জোর করে ধরে গোসল করার উদ্যেগ নেয়। তারা সবাই মিলে তাকে গোসল করিয়ে দেয়। প্রথমবার গোসলের কয়েক দিন পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আমু হাজি। অসুস্থ থাকার পর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখে মারা যান আমু হাজি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।