ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণা লুক্সেমবার্গের

ফিলিস্তিন
  © সংগৃহীত

গত ২২ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীরে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বরতায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব। তবে কাউকেই তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। তাই ফিলিস্তিনি ইস্যু সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রের দিকে হাটছে বিশ্ব। এরই অংশ হিসেবে লুক্সেমবার্গ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি লুক্সেমবার্গও এই ঘোষণা দেবে বলে জানা গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টি পার্লামেন্টারি কমিশনকে জানিয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজনীতি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে এই দাবি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসবে।

এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ।

গত জুলাই মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ঘোষণা করেছিলেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। একই মাসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারও একই ধরনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

স্টারমার বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ব্রিটেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে, যদি ইসরায়েল সরকার গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে ব্যর্থ হয়। পরে একে একে অন্যান্য দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে, গত ১৬ আগস্ট রাতে ইসরায়েল গাজা শহর দখলের লক্ষ্যে পূর্ণমাত্রায় একটি স্থল অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন করেছিল। যদিও দ্রুত তা শেষ করতে তারা ইসরায়েলকে তাগাদা দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যা পুরো বিশ্বের ৭৫ শতাংশ। কিন্তু এত সমর্থনও গাজায় চলমান গণহত্যা থামাতে পারছে না।


মন্তব্য