নেতানিয়াহুকে প্রশংসায় ভাসালেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মাচাদো

মাচাদো
  © ফাইল ছবি

চলতি বছর নোবেল শান্তিপুরস্কার বিজয়ীকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া করিনা মাচাদো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনালাপে ‘সর্বগ্রাসী শক্তির’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন। 

নেতানিয়াহুর অফিস এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে। এই প্রশংসা ইসরায়েল মাচাদোর গাজা আক্রমণের সমর্থন হিসেবে উপস্থাপন করেছে। গতকাল শুক্রবার মাদাচো নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন।

নেতানিয়াহুর অফিস এক্সে জানিয়েছে, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া করিনা মাচাদো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। যুদ্ধের সময় নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত ও দৃঢ় পদক্ষেপ এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্তির জন্য চুক্তির প্রশংসা করেছেন মাচাদো। তবে মাচাদো এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে ইসরায়েল এবং গাজার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি বরং এড়িয়ে গেছেন। 

এক্সে দেওয়া ওই বিবৃতিতে মাচাদো বলেন, ‘আজ আমি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছি এবং ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ভেনিজুয়েলার জনগণকে উষ্ণ অভিনন্দন জানানোর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

আমরা ভেনিজুয়েলাবাসী শান্তিকে গভীরভাবে মূল্য দিই এবং আমরা জানি যে এটি অর্জনের জন্য আমাদের বিরোধিতাকারী সর্বগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য অপরিসীম সাহস, শক্তি এবং নৈতিক স্পষ্টতার প্রয়োজন। এতে বিস্ময়ের কিছু নেই যে ইরানের শাসকগোষ্ঠী, যারা ভেনিজুয়েলার মাদুরো সরকারের অন্যতম প্রধান সমর্থক—তারা হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুতি বিদ্রোহীদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকেও সমর্থন করে। এই জোটবদ্ধতা স্বাধীনতা এবং কর্তৃত্ববাদের মধ্যে সংগ্রামের বৈশ্বিক প্রকৃতিকে তুলে ধরে।

যেভাবে আমরা ভেনিজুয়েলায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি, ঠিক সেভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশই মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও আশার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা একটি ভবিষ্যৎ প্রাপ্য—ভয় নয়।

আমরা আশা করি, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের দূরদর্শী পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন এই অঞ্চলে ন্যায়সংগত এবং স্থায়ী শান্তি অর্জনে অবদান রাখবে। পরিশেষে, শান্তির জন্য স্বাধীনতা প্রয়োজন এবং স্বাধীনতার জন্য সাহস এবং শক্তি প্রয়োজন।’

তবে তিনি সরাসরি ইরানকে মাদুরো শাসনব্যবস্থার একজন প্রধান সমর্থক হিসেবে অভিহিত করেছেন, যারা হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুথিদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকেও সমর্থন করে।’

ভেনিজুয়েলার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মাদুরোর অগ্নিগর্ভ সমাজতান্ত্রিক পূর্বসূরি হুগো শ্যাভেজ ২০০৮ সালের গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ২০০৯ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন।

সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া


মন্তব্য