ছবি নিয়ে কড়া জবাব রুমিন ফারহানার

রুমিন
  © ফাইল ছবি

বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে গ্লোবাল টেলিভিশনের জনপ্রিয় টকশো ‘প্রশ্নগুলো সহজ’-এ অংশ নিয়ে তার রাজনৈতিক পরিচয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং দল নিষিদ্ধকরণের বাস্তবতা নিয়ে সরাসরি ও কঠোর ভাষায় নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।

আলোচনার একপর্যায়ে উপস্থাপিকা রুমিন ফারহানার একটি ভাইরাল ছবি ও মন্তব্য তুলে ধরে প্রশ্ন করেন—তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কি না, এমন বিতর্ক কেন উঠছে? জবাবে রুমিন বলেন, বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর।

তিনি স্পষ্ট করেন, তিনি বর্তমানে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং বিতর্কিত ছবিগুলো ফরাসি ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আয়োজিত কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে তোলা হয়েছিল, যেখানে তিনি দলীয় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় উপস্থিত ছিলেন।

রুমিন বলেন,“রাষ্ট্রদূতের সামনে আপনি যদি বলেন—‘এই মানুষটা কোন দলে? আমি ছবি তুলব না’—এটা বস্তির মানসিকতা। কূটনৈতিক পরিবেশে দলীয় সংকীর্ণতা প্রদর্শন অনুচিত।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে কারও সঙ্গে ছবি তোলা বা না তোলা, বা কথাবার্তা বলাকে ইস্যু বানানো বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক প্রকার চরিত্রহননের সংস্কৃতি।

রুমিন ফারহানার আগের একটি মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল—তিনি বিএনপির হয়ে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে। টকশোতে তিনি পরিষ্কার করে বলেন,“আমি বলেছিলাম নিশ্চিত না, কারণ তখন দলের মনোনয়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যেকোনো নির্বাচনে কে অংশ নেবে তা দলের কৌশলের অংশ।”

এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপি এখনো সুস্পষ্ট কৌশল নির্ধারণ করেনি এবং দলের সিদ্ধান্তই তাঁর সিদ্ধান্ত হবে।

আলোচনার শেষ অংশে উপস্থাপিকা জামায়াত-ই-ইসলামীর নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গ তোলেন। রুমিন ফারহানা বলেন,“শুধু কাগজে কলমে নিষিদ্ধ করলেই কোনো রাজনৈতিক শক্তি মাঠ থেকে চলে যায় না।”

তিনি দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ছাত্রসংসদ নির্বাচনে জামায়াত-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের উল্লেখযোগ্য বিজয় প্রমাণ করে যে কাগজে নিষিদ্ধ করলেও রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারা সক্রিয় রয়েছে।

তার ভাষায়,“বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে কোন আদর্শের, তা এখন পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করা কঠিন। অনেক দলীয় পরিচয় মিশে গেছে, রাজনীতি অনেকটা ছদ্মবেশী হয়ে গেছে।”


মন্তব্য