জামায়াতে যোগ দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের যে ঘোষণা

জামায়াত
  © সংগৃহীত

হিন্দুদের রক্ষক হিসেবে দাবি করা আওয়ামী লীগের শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি অত্যাচারের শিকার হয়েছে হিন্দুরা। আর এসব অত্যাচারের দায় পড়ত বিরোধী দল, বিশেষ করে জামায়াতের ওপর। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান হওয়ার পর দৃশ্যপট উল্টো দেখা গেছে। হিন্দুদের নিরাপত্তায় সবার আগে এগিয়ে এসেছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গত ১ বছরে দলটি হিন্দুদের জন্য আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে। এর প্রভাবও দেখা মিলছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভান্ডারীপাড়া গ্রামে ৮০টি হিন্দু পরিবার জামায়াতে ইসলামীর সদস্যপদ গ্রহণ করেছে।

গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রামের একটি মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিউর রহমান।

স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “আমরা জামায়াতের মতাদর্শে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহী ছিলাম। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ৮০টি পরিবার একত্রে এই দলে যোগ দিলাম। আমরা বিশ্বাস করি, জামায়াত আমাদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা করবে।”

তিনি আরও জানান, শুধু সদস্যপদ গ্রহণ নয়, তারা জামায়াতের রাজনীতিকে আরও সুসংগঠিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মতিউর রহমান বলেন, “আমরা সকল ধর্মের মানুষকে নিয়েই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরাও এখন নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছে, আর জামায়াত সেই সুযোগ দিতে চায়।”

স্থানীয়ভাবে এই ঘটনাটি আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং নানা মহলে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


মন্তব্য