লটারীতে ইউএনও পদায়নে আওয়ামীমনা ফ্যাসিবাদীদের জয়জয়কার
- বিশেষ প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ AM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ AM
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লটারীর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিয়োগে আরেকটা ভাঁওতাবাজি করলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওয়ামী সিন্ডিকেট। মূলত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইং এর যুগ্মসচিব মিয়া আশরাফ রেজা নেতৃত্বে আওয়ামীমনা ফ্যাসিবাদীদের জয়জয়কার হয়েছে এ নিয়োগের মাধ্যমে।
জানা গেছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পতিত আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতেই কৌশলে এ নিয়োগের ধান্ধা করে পুরানো সিন্ডিকেটটি। দীর্ঘদিন নানা আকাম কুকাম করে আসলেও সম্প্রতি এখানে নতুন করে আরেকজন যুক্ত হন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের এপিডি উইং এর মোঃ উজ্বল হোসেন। এই সিন্ডিকেট নিয়ে এর আগে সমালোচনা হলে রবিউলকে জনপ্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে উজ্জ্বল যুক্ত হওয়ায় এই সিন্ডিকেট আরো শক্তিশালী হয়।
সূত্র জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৬ নভেম্বর প্রহসনের ও গোলাটে পদ্বতির লটারীর নামে ৩৭ তম বিসিএস এর ১৬৬ জন কর্মকর্তাকে ইউএনও হিসেবে বিভিন্ন উপজেলায় পদায়ন করা হয়। একই দিনে ৩৫ ও ৩৬ ব্যাচের ১৫৮ জনকে ইউএনও থেকে প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যেখানে ৫ আগস্ট সংগঠিত জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছিল সেখানে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে অসচ্ছ ও ঘোলাটে লটারীর নামে আওয়ামী ও ফ্যাসিবাদমনা অফিসারদের ইউএনও হিসেবে ঢাকা ও এর আসেপাশের উপজেলায় পদায়ন দিয়ে জুলাই শহিদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মূলত জনপ্রশাসনের এপিডি উইং এর মিয়া আশরাফ রেজা ফরিদী, মেঃ উজ্জ্বল হোসেন ও তৌহিদ বিন হাসান এ নিয়োগের মাধ্যমে আবারও ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টার নেপথ্যে কারিগরের ভূমিকা পালন করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কথিত একটি সিন্ডিকেটের কথা চাউর থাকলেও এবার তা প্রকাশ্যে আসে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অভ্যন্তরীণ স্বার্থগোষ্ঠী এমন একটি নেটওয়ার্ক বা গোষ্ঠী, যারা প্রশাসনিক ক্ষমতা, বদলি-পদোন্নতি, সুবিধা বণ্টন, প্রকল্প অনুমোদন কিংবা সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। এদের কাজের ধরন অনেকটা “অদৃশ্য প্রভাব বিস্তার” এর মতো।
৫ আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী এ সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইং এর যুগ্মসচিব মিয়া মোঃ আশরাফ রেজা ফরিদী ছিলেন আওয়ামী আমলে সুবিধাভোগী। সে ৫ আগস্ট এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছিলেন এবং তার শ্যালক ও ব্যাচমেট আওয়ামীমনা, ফ্যাসিস্ট আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ছিলেন নরসিংদির ডিসি। আগের আমলে সুবিধাভোগী এ কর্মকর্তা ৫ আগস্ট এর পরবর্তীতে ভোল পাল্টিয়ে এখন হয়ে গেছেন অনেক অফিসারের ভাগ্যনিয়ন্তা। এমনকী তার গঠিত সিন্ডিকেট এর প্রভাব খাটিয়ে সাবেক খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকারকে এপিডি হিসেবে বসতে দেওয়া হয়নি বলে শুনা যায়৷
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বদলি/পদোন্নতি/পদায়নের কাজ হয় মন্ত্রণালয়ের “নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ বা এপিডি উইং” থেকে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে সিন্ডিকেটের চর। এপিডি উইংয়ে এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন ঊর্ধ্বতন নিয়োগ অধিশাখার যুগ্মসচিব মিঞা মোহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী।
প্রশ্ন উঠেছে কে এই ফরিদী? তার ক্ষমতার উৎস কোথায়? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজেকে বিএনপি বলে পরিচয় দেওয়া ফরিদী বিগত আওয়াামী লীগ আমলে নিয়মিত পদোন্নতি এবং ফ্যাসিস্টের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরেই কাজ করেছেন। তার কাজ উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব বদলি-পদায়ন-পদোন্নতি হলেও তিনিই কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করেন ডিসি পদায়ন থেকে শুরু করে সংস্থা প্রধান নির্বাচন। সম্প্রতি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ডিসি পদায়নকে কেন্দ্র করে উপদেষ্টা কমিটির সাথে যে মতবিরোধের কথা শোনা যায় তার মূলেও আছেন এই ফরিদী। মূলত তার পছন্দের লোককে ডিসি বানাতেই সরে যেতে হলো জনপ্রশাসন সচিবকে। তার শ্যালক ও ব্যাচমেট হচ্ছেন আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান যিনি ছিলেন নরসিংদীর ডিসি ও ফ্যাসিস্টের সচিব এম সাজ্জাদুল হাসান এবং মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার একান্ত সচিব (বর্তমানে পরিবেশ উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসাবে বহাল তবিয়তে আছেন)।
এর পরেই আছেন ফরিদীর ডানহাত আরেক কর্মকর্তা উপসচিব তৌহিদ বিন হাসান। জানা গেছে, তৌহিদ বিন হাসানের খালুশ্বশুর কর্নেল দিলাওয়ার হচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খুনের একজন আসামী হিসেবে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত। তিনি নিজে ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ARO) হিসেবে নির্বাচনের আগের রাতে দুই-তৃতীয়াংশ ব্যালট বাক্স ভরে ফেলেছিলেন। তার পিতা মোঃ আহসান আলী দুদকের উপপরিচালক হিসেবে দুর্নীতির অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসর পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের কর্মকর্তা হিসাবে তিনি এসএসবি সভার তথ্য নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের কাছে ফাঁস করেন এবং সিন্ডিকেট সেই তথ্য ধরে বিভিন্ন পদোন্নতি/পদায়নপ্রত্যাশী কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, এপিডি উইংয়ের এসএসবি এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকার বিনিময়ে পদোন্নতি-পদায়নের চুক্তি করে।
সম্প্রতি ৩০তম ব্যাচের উপসচিব পদে পদোন্নতি প্রত্যাশী একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে বলা হয় তার রিপোর্ট খারাপ, তারপরেও পদোন্নতি করে দিতে পারবে যদি তারা (বিভিন্ন লেয়ারে দিতে হবে+সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেসহ ১১ লাখ) এরকম কনট্রাক্টে আসেন।
এপিডি উইংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল ক্যাডার পদে পদোন্নতির কাজ করা হয় ঊনি-১ শাখা থেকে। অথচ ঊর্নি-৩ শাখায় কর্মরত তৌহিদ বিন হাসান উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতি শুধু নয়, এ সকল পদে পদায়ন, পিএস নিয়োগ, ইউএনও/এডিসি/ডিসি নিয়োগসহ বিভিন্ন শাখার কার্যক্রমে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তরে নিজের লোক পদায়নের মাধ্যমে একটি অনুগত গ্রুপ সৃজন করেছেন যারা ঐসব মন্ত্রণালয়/বিভাগের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন।
আওয়ামী সুবিধাভোগী এই সুবিধাবাদী কর্মকর্তা তার ব্যাচের আওয়ামী সুবিধাভোগী বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।
তৌহিদ বিন হাসান ৫ আগস্টের আগে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে গাজীপুরের সহকারী কমিশনার, ঢাকার লালবাগ সার্কেলের এসিল্যান্ড, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের এসিল্যান্ড, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। কথিত আছে, এপিডি উইংয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বদলি বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের হোতা সাবেক ডিবি প্রধান মনিরুলের স্ত্রী সায়লা ফারজানা এবং কে এম আল আমীন, ভাস্কর দেবনাথ, নাজমা নাহারকে খুশি করার মাধ্যমে তিনি ২০২৩ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান।
৫ আগস্টের পরে ভোল পাল্টে এই কর্মকর্তা রাতারাতি বিএনপিপন্থী বনে গিয়ে জনপ্রশাসনের বর্তমান সিন্ডিকেটকে মাসোহারা প্রদানের মাধ্যমে এপিডি উইংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। এর পরেই আছেন এপিডি উইং এর এ সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা মোঃ উজ্জ্বল হোসেন। যিনি ফ্যাসিবাদী আমলে নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন ফ্যাসিবাদী ডিসি রাব্বী মিয়ার প্রিয় অফিসার ছিলেন। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও ফ্যাসিবাদী রাব্বী মিয়ার কাছের অফিসার হওয়ায় প্রায় দুই বছর নারায়ণগন্জের আড়াইহাজারে এসি ল্যান্ড হিসেবে পদায়ন পেয়েছিলেন। এইচ টি ইমামের কাছের হওয়ায় তাকে উল্লাপাড়া উপজেলা, সিরাজগঞ্জের ইউএনও হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়। তার পুরো পরিবার বগুড়া জেলার শাহজানপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ৫ আগস্টের পর বগুড়া বাড়িকে কাজে লাগিয়ে সে হয়ে যায় অনেক অফিসারের ভাগ্যনিয়ন্তা।
অনেককে ফ্যাসিস্ট সুবিধাভোগী ট্যাগ দিয়ে এই সিন্ডিকেটের সুবিধামত পদায়ন করায় মূল ভূমিকায় আছে এমন অভিযোগ আছে। কিন্তু তার নামেই রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।
শুধু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নয়, ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগে এই সিন্ডিকেট তার প্রভাব বিস্তার করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
এই সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় ৫ আগস্টের পর ডিজারশন ও অসদাচরণের অভিযোগে চাকরি হতে বরখাস্তকৃত ফ্যাসিস্ট সহযোগী স্বরাষ্ট্রের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের অনুগত বিকাশ বিশ্বাস প্রায় ৪ বছর ধরে স্বরাষ্ট্রে থাকলেও অদ্যাবধি সেখানেই আছেন এবং উপসচিব প্রমোশনও
পেয়েছেন।
সিন্ডিকেটের সহায়তায় অর্থ মন্ত্রণালয়েও বহাল তবিয়তে বর্তমান রয়েছেন সাবেক অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারের সহযোগীরা। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া বহু কর্মকর্তাকে অর্থের বিনিময়ে/স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পুনরায় আবার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়/বিভাগে পুনর্বহাল করছে এই সিন্ডিকেট।
এদিকে ঘোলাটে লটারীর মাধ্যমে ইউএনও পদায়নের এ প্রজ্ঞাপনে দেখা যায় ৩৭ তম প্রশাসন ক্যাডারের ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামসুল কবির রাহাতের বন্ধু ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ঘনিষ্ঠ মনীষা রানী কর্মকারকে শিবালয় উপজেলা, মানিকগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদী আমলের আরেক সুবিধাভোগী শাহ মোঃ যুবায়েরকে ইউএনও হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এ পদায়ন দেওয়া হয়েছে। আরেক মুজিবপ্রেমি আওয়ামীমনা এসএম ফয়েজ উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়েছে। মুজিবমনা মোঃ আসাদুর রহমানকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পদায়ন পাওয়া মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়ার পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের ঘোরতর সমর্থক এবং সে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব যিনি পরবর্তীতে ২০২৪ সালে হাসিনার পাতানো নির্বাচনে মোহনগঞ্জের এমপি হয়েছিলেন সেই সাজ্জাদুল হাসান এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ক্যু করার চক্রান্তকারী সাবেব প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এ কর্মকর্তা ফ্যাসিবাদী আমলে ঢাকা ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভাঙ্গা উপজেলার এসি ল্যান্ড ছিলেন।
এ রকম আরো ২০ জনের অধিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের পদায়নের তথ্য প্রমান রয়েছে বাংলাকন্ঠের কাছে যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।